বাসে বসা নিয়ে হাতাহাতি করেন আফ্রিদি-বাট, ফাঁস করলেন শোয়েব
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২২
২০১১ সালে হুট করেই পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। কেননা তালেবান নেতা ওসামা বিন লাদেন যে সেখানে আত্মগোপন করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। সেই অ্যাবোটাবাদ আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে এবার ওসামা বিন লাদেনের জন্য নয়, আলোচনায় দুই পাক ক্রিকেটারের জন্য। যদিও ঘটনাটি লাদেনের মৃত্যুরও চার বছর আগের। কিন্তু তা প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি।
১৫ বছর পর এমন তথ্য সামনে আনলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার। তবে এ ঘটনা সামনে আসায় বেশ বিরক্ত ঘটনায় জড়িত সাবেক অধিনায়ক ক্রিকেটার সালমান বাট।
শোয়েব আখতার তার আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ এ ঘটনাটি তুলে ধরেন এবং সেখানে শহীদ আফ্রিদিকেই সমর্থন দেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন শোয়েব। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
ঘটনাটির বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালে পাক ক্রিকেট দলের ক্যাম্প করা হয়েছিল অ্যাবটাবাদে। একদিন অনুশীলন থেকে হোটেলে ফেরার সময় বাসেই আফ্রিদির সঙ্গে হাতাহাতি হয় তৎকালীন অধিনায়ক সলমন বাটের। এমন ঘটনায় আফ্রিদির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তখনকার দলের ম্যানেজার তালাত আলি তাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
সেই ঘটনা আবারও আলোচনায় এসেছে সালমান বাটের মাধ্যমে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট বলেন, সব দলেই এরকম কিছু না কিছু ঘটে। আফ্রিদি আমার সিনিয়র ছিল। বন্ধু নয়। আমার সঙ্গে ভালই ব্যবহার করত। আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হত। অনেক সময় দু’জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেগুলো প্রকাশ্যে না আসাই ভাল।
অন্য দিকে শোয়েব বলেন, অনুশীলন থেকে ফেরার সময় বাসে আমার পাশের আসনে বসেছিল বাট। আফ্রিদি ওকে আসনটি ছেড়ে দিয়ে অন্য আসনে বসতে বলে। তা নিয়েই দু’জনের তর্ক শুরু হয়। তাতে তালাত মেজাজ হারিয়ে আফ্রিদিকে বলেছিলেন, কেন বাটকে আসন ছাড়তে হবে। এরপর আফ্রিদি ম্যানেজারের সঙ্গেও তর্ক জুড়ে দেয়। সেদিন রাতে শোয়েব মালিকের থেকে জানতে পেরেছিলাম, সেই ঘটনার জন্য আফ্রিদিকে বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তালাত এবং পিসিবি।
শোয়েব আখতার আরও বলেন, আফ্রিদি ক্রিকেটজীবনে খারাপ ব্যবহার অনেকবারই পেয়েছে। অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু, সে সব নিয়ে কখনও তেমন কিছুই বলেননি আফ্রিদি। এর আগে বাট একবার অভিযোগ করেন, আফ্রিদিই তাকে ২০১৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেন। বাটের ক্রিকেটজীবনও বিতর্কহীন নয়। ২০১০ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে পাঁচ বছর নির্বাসিত হন বাট।