ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২২

হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

হবিগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। জেলার ৪ উপজেলায় ৩৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। খোয়াই নদীর পানি সীমান্ত সংলগ্ন বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার এবং হবিগঞ্জ সদরে মাছুলিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

যেকোন সময় শহর রক্ষা বাধ ভেঙ্গে যেতে পারে এ আশংকায় শহরবাসিকে সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানিও বেড়ে যাওযায় নবীগঞ্জ ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

নবীগঞ্জ উপজেলার ৯টি, লাখাই উপজেলায় ৪টি, বানিয়াচঙ্গ উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়ন এবং আজমিরিগঞ্জ পৌর এলাকাসহ ৫টি ইউনিয়ন এখন বন্যার কবলে। এদিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া নামকস্থানে খোয়াই নদীর বাধ ভেঙ্গে পানি হবিগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করছে। সোমবার লাখাই উপজেলার বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় লোকজন তাদের জানমাল নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন।

লাখাই স্বজন গ্রামের নৌকার মাঝি লুৎফুর মিয়া বলেন, গত ১ সপ্তাহ ধরে লাখাই ইউনিয়নের বেশ কটি গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত। অনেকের কাঁচাঘর বাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। অনেকেই খোরাকির ধান পানির দরে বিক্রি করে দি”্ছনে। বাজারে যেখানে ৯শ থেকে ১ হাজার দরে ধান বিক্রি হচ্ছে, সেখানে বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকরা ৬/৭শ টাকা দরে গোলার ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন ২০০৪ সালের বন্যার পর এতো পানি দেখিনি।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ওই ৪ উপজেলার ১৫ হাজার ২শ পরিবারের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন । তবে বেসরকারি হিসেবে এর সংখ্যা দ্বিগুন। সূত্র জানায়, নবীগঞ্জে ২হাজার ২শজন, আজমিরিগঞ্জ ২ হাজার ৪শ ,লাখাই ৩৮০ ও বানিয়াচঙ্গে ৩ হাজার ৮শ ৪জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, খোয়াই নদীর শহর রক্ষা বাধ নিরাপত্তার জন্য পাহারাদার নিযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান, জেলার ১১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোরা হয়েছে। বন্যার্থদের জন্য এ পর্যন্ত ৩৫টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা, ২ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে টয়লেট অপ্রতুল থাকায় আশ্রিত লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 
Electronic Paper