ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাংলাদেশ ১-৪ মালয়াশিয়া

বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচেও হারল জামালরা

বদরুল আলম চৌধুরী
🕐 ৯:০০ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২২

বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচেও হারল জামালরা

এশিয়া কাপ বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ। গতকাল স্বাগতিক মালয়শিয়ার কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ পরাজিত হয় ৪-১ ব্যবধানে। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচের হারে বাংলাদেশ কোন পয়েন্ট না নিয়েই গ্রুপের তলানীতে। প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের কাছে ২-০, দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে ২-১ গোলে এবং গতকাল শেষ পরাজয়ের পেরেকটা গেঁথেছে স্বাগতিক মালয়শিয়ার কাছে।

মালশিয়ার পক্ষে গোল করেন রশিদ,কুলস, আহামাদ ও লক এবং বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ইব্রাহিম। প্রত্যাশা ছিলো জয়ের। কিন্তু লাল সবুজ প্রতিনিধিরা পারেনি নিজেদের গোল বারের এগারগজটিও রক্ষা করতে। উল্টো টুর্নামেন্টের সবচে বড় পরাজয়ে দু:স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে জামাল ভুঁইয়াদের।

এই পরাজয়ে বাংলাদেশ শুন্য হাতে শুধু ফিরেনি, আগামীতে এশিয়া কাপের বাছাই পর্বে আমন্ত্রণের সুযোগটিও হারাতে পারে। এমন কি র‌্যাংকিংয়ে আরেকধাপ পিছানো সম্ভাবনা উকি মারছে।

তবে স্বাগতিক মালশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধটা দারুণ লড়াই করেছিলেন জামাল ভুঁইয়ারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমবস্থায় থাকেনি ম্যাচের ফলাফল। রক্ষণভাগে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলা, গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী সোহেল রানার মিস ফ্লাইংয়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ফলে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ যেভাবে ১-১ গোলের সমতায় ফিরেছিলো, তাতে প্রথমার্ধটা আর সমতায় থাকেনি। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের জালে দুই গোল জড়িয়ে দিয়ে প্রথমার্ধের ব্যবধান শেষ ২-১ শেষ করে মালয়শিয়া।

সাইড লাইনে দাড়িয়ে দাঁতে দাঁত কামড়ানো ছাড়া যেন আর কিছুই করার ছিলো না জামাল ভুঁইয়াদের শীর্ষ কোচ ক্যাবরেরা। বাংলাদেশে একজন সুনীল চেত্রীর অভাব সেই প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই। যার নেতৃত্বে ভারত এবারও বাছাই পর্বের বাধা টপকে পৌছে যায় এশিয়া কাপ পর্বে।

গতকাল বাংলাদেশেরও সুযোগ ছিলো এশিয়া কাপে পৌছানোর। তবে স্বাগতিকদের অনেক বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে! কিন্তু স্বাগতিকদের বিপক্ষে এমন স্বপ্ন দেখাটা অনেকটা দু:স্বপ্নই বটে। গতকাল মালয়শিয়ানদের গোছালো ফুটবল জানান দিয়েছে তা। মালয়শিয়ানদের বিপক্ষে গত নয় মুখোমুখিতে একবারই জিতেছিলো বাংলাদেশ। দিল্লি এশিয়াডে ১৯৮২ সালে প্রয়াত বাদল রায়ের একমাত্র গোলে বাংলাদেশ জিতেছিলো। এরপর মালয়শিয়ার বিপক্ষে জয় শব্দটা অধরাই রয়ে গেছে লাল সবুজ প্রতিনিধিদের।

গতকাল বুকিত জলিল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে শুরুতেই পিছনে ঠেলে দেয় রেফারির এক বিতর্কীত সিদ্ধান্ত। ষোল মিনিটে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করেন। রেফরি সেটিকে ফাউল ভেবে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। মালয়শিয়ার সাফাই রসিদ পেনাল্টি থেকে গোল করেন। জিকো বলের দিকেই ডাইভ দিয়েছিলেন। তার হাত ছুয়ে বল জালে জড়ায়।

তবে পিছিয়ে পড়লেও বাংলাদেশ দারুণ ভাবে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। এবং ৩১ মিনিটে ম্যাচে সমতাও ফেরায়। গোলের অ্যাকশন আগের মতোই। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বার থ্রো রাকিবের ব্যাক হেড এবং ইব্রাহিমের হেডে বল জালে জড়ায়। তাতে স্তব্ধ হয়ে পড়েন স্বাগতিক সমর্থকরা। অবশ্য অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাগতিক দর্শকদের মুখে হাসি ফুটে আসে। সাত মিনিট পর ডিয়ন কুলস আবার স্বাগতিকদের লিড এনে দেন।

ডিলনের নেয়া দূর থেকে শট জিকোর হাতের নিচ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে জিকোর ডাইভটা একটু দেরি হয়ে যায়। এই ব্যর্থতা ছাড়া জিকো বাকি সময়টা শুধু প্রশংসাই কুড়িয়েছেন। মূলত প্রথমার্ধ তার কৃতিত্বে টিকে ছিলো খেলায়। তার দূর্দান্ত কয়েকটি সেভে বাংলাদেশ নিশ্চিত একাধিক গোলে হজম থেকে বেচে যায়।

দ্বিতীয়াধেও স্বাগতিকদের আধিপত্য ছিলো পরিস্কার। নেমেই বাংলাদেশের জালে আরেক গোল পাঠায়। সেন্টার ব্যাক থেকে পাওয়া উড়ন্ত বলে হেডে গোল করেন...। বাংলাদেশ পিছিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে।

বাংলাদেশ দল

আনিসুর রহমান জিকো ( গোল রক্ষক),টুটুল হোসেন বাদশা, ইয়াছিন আরাফাত, বিশ্বনাথ ঘোষ, রিমন হোসেন, আতিকুর রহমান ফাহাদ, জামাল ভুঁইয়া, বিপুল আহমেদ, ইব্রাহিম, রাকিব হোসেন।

 

 

 

 
Electronic Paper