খুলনায় গ্রীল কেটে প্রবাসীর বাসায় দুর্ধর্ষ
চুরির দেড় মাস পর থানায় মামলা রেকর্ড
খুলনা ব্যুরো
🕐 ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২২
খুলনা মহানগরীতে গ্রীল কেটে প্রবাসীর বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনার দীর্ঘ দেড় মাস পর থানায় মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। সোমবার খুলনা সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। তবে ঘটনার তদন্তের জন্য উল্লিখিত সময় লেগেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এদিকে, ঘটনার পর পরই তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ঘটনার সত্যতাসহ আলামত জব্দ করে। এরপরও তদন্তের নামে মামলা রেকর্ডে দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি সাংবাদিক মো. জামাল হোসেন। তিনি বলেন, তার ভাগ্নি’র বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু ভাগ্নি জামাই বিদেশে থাকায় অভিভাবক হিসেবে তিনিই মামলার বাদি হন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ এপ্রিল রাতে নগরীর ৫/২, ইউসুফ রোড, বড় মির্জাপুরস্থ (অণির্বান পত্রিকা সংলগ্ন গলি) নূরুল হকের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় প্রবাসী মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নিয়াজুল করিম রাজিবের বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে গ্রীল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা স্টিলের আলমারি ও ড্রর ভেঙ্গে প্রায় ১৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এর মধ্যে কানের দুল, হাতের বালা ও গলার চেইনসহ বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ মোট চুরির পরিমান ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক থানায় খবর দিলে সদর থানার এসআই আব্দুল হান্নান ও এসআই সুজিত কুমার মিস্ত্রি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চুরির সত্যতা পান।
এদিকে, ঘটনার পর প্রবাসী নিয়াজুল করিম রাজিবের স্ত্রী-সন্তানরা বাসায় ফিরে দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের বারান্দার গ্রীল কাটা, রুমের মালামাল তছনছ এবং স্টিলের আলমারি ও ড্রর ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পান। এ অবস্থা দেখে রাজিবের স্ত্রী আফরোজা সুলতানা শম্পা অচেতন হয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পরদিন ১৭ এপ্রিল এ বিষয়ে আফরোজা সুলতানা শম্পার মামা সাংবাদিক জামাল হোসেন বাদি হয়ে খুলনা সদর থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু দেড় মাস পর ৩০ মে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ।
এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর থানার এসআই সুজিত কুমার মিস্ত্রি বলেন, মূলত: তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। এ কারণে মামলা রেকর্ডে বিলম্ব হয়েছে। এদিকে, মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে খুলনা থানার এসআই সাইদুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।