‘অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করবে সরকার’
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২২
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, আমাদের বিআইডব্লিউটিএর মাত্র ৪টি উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬৪ সালের একটি, ৮৩ সালের একটি। এ দুটির উদ্ধার ক্ষমতা ৫০-৬০ টন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্ধার কার্যক্রম আরো বেশি গতিশীল করতে গত ১৩বছরে ২৫০ টন উত্তোলন ক্ষমতা সম্পূর্ণ দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ বিআইডাব্লিউটিএর বহরে যুক্ত করেছেন।
সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিআইডব্লিউটিএকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে উদ্ধার কার্যক্রম আরো সমন্বিতভাবে করা যাচ্ছে। অনাকাংখিত দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান আরো গতিশীল করতে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হবে।
আজ শনিবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত 'নৌদুর্ঘটনা কবলিত নৌযান উদ্ধার মহড়া কার্যক্রম' পরিদর্শন ও বার্ষিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। "প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান - নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান" প্রতিপাদ্যে উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত সজাগ থাকতে হয়। তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বেশ কিছু দূর্ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারকর্মীরা দক্ষতার সাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
উদ্ধারকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, উদ্ধারকর্মীদের শুধু দেশে না, বিদেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তারা দেশপ্রেম ও মানবতা নিয়ে কাজ করেন। মানুষ তাদেরকে সম্মানের সাথে দেখে। আরো বেশি দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ধরনের মহড়ার মধ্য দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম আরো বেশি সফলতা পাবে। দুর্ঘটনা চাইনা। তারপরেও প্রস্তুত থাকতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর কে এম জালাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।তিনদিনব্যাপী এ মহড়ায় নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ'র ডুবুরীরা অংশ নেয়।