এসময় হাইকোর্ট এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের তাড়া করার জন্য ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী দৌড়ে যান। সেখান থেকে প্রথমে কয়েকজন কোর্ট চত্বরে প্রবেশ করলে পরবর্তীতে আসা নেতাকর্মীরা ছাত্রদল ভেবে ছাত্রলীগের ওপরই হামলা করে বসে। একপর্যায়ে ইট ছুড়তে থাকে তারা। এতে ৫ থেকে ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিষয়টি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের একজন কর্মী নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলার সময় বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সরকারপ্রধানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিষয়টি নিয়ে কড়া বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ। তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে দাবি করে চটেছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের এমন ঘোষণার পর থেকেই পরিস্থিতি অনেকটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করে আসা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার (২৪ মে) ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতকার্মী আহত হয়েছিলেন। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।