ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দেশজুড়ে ফের শুরু হয়েছে গুপ্তহত্যা : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৮

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দেশজুড়ে ফের গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে। গতকালও নারায়ণগঞ্জে সড়কের পাশে গুলিবিদ্ধ ৪ যুবক ও উত্তরায় দিয়াবাড়ির কাশবনে দুই যুবকের লাশ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, দেশজুড়ে ফের সড়কের পাশে, নদীর ধারে, ঝোঁপঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে যুবকদের রক্তাক্ত লাশ। এর সঙ্গে বিচারবর্হিভূত হত্যা-তো প্রতিদিন চলছেই।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণ-যুবক সমাজকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্যই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পাইকারী গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে। আর এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হয়েছে ইনডেমনিটি।

কারণ একটাই, একতরফাভাবে নির্বাচন করতে তরুণ-যুবকদের কোনো প্রতিরোধ যেন না হয়। সরকার যাদেরকে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবে তাদেরই লাশ ধানক্ষেত, খাল-বিলে পড়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, একের পর এক কালাকানুন প্রণয়ন করে, মানুষ হত্যা করে, গ্রেফতার নির্যাতন করে আর রেহাই পাওয়া যাবে না। ডিজিটাল কালাকানুন গ্রাস করেছে দেশের গণতন্ত্রকে। দিগন্ত রেখায় আপনার পতনের চিহ্ন ফুটে উঠছে।

তিনি বলেন, চারিদিকে এখন শুধু সরকার পতনের আওয়াজ, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার আওয়াজ। নিপীড়ন-নির্যাতনের পাশাপাশি আপনার কথা বক্তব্য বিবৃতিতেও মানুষ নির্যাতন বোধ করে।

আমির খসরু মাহমুদ প্রসঙ্গ

রিজভী বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উচ্চতর আদালত ও নিম্ন আদালতে জামিনে ছিলেন। অথচ গতকাল (রোববার) চট্টগ্রামে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে হয়রানির জন্য।

সারাদেশে হাজার হাজার গায়েবী মামলায় লক্ষ লক্ষ জ্ঞাত-অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করার পর এখন জাতীয় নেতা-কর্মীদের আটকের পালা শুরু হয়েছে। তার প্রথম শিকার হলেন আমির খসরু।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন, ড. সাহেদা রফিক, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সালাম আজাদ, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।

 
Electronic Paper