চট্টগ্রাম-রাজশাহীতেও জনসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
প্রথমে সিলেট বিভাগে এরপর চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রথমবারের মতো সমাবেশ করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সিলেটে আগামী ২৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সমাবেশটি হওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতিও পেয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত রাজনৈতিক অঙ্গনের নতুন এই জোটটি। এছাড়াও আগামী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে ও ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে জনসভা করার কথা রয়েছে।
বুধবার রাতে ফ্রন্টের বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২৩ অক্টোবর সিলেট, ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম এবং ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
জনসভার অনুমতি নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সিলেটে আমরা মাজার জিয়ারত করতে যাবো তারপর ওখানে জনসভা করবো।
সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
তবে সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। আপাততো জনসমাবেশের সিদ্ধান্তের দিকে বেশি মনজোগ দিচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বৃস্পতিবার বিকাল তিনটায় গুলশানে হোটেল লেকশোরে কুটনীতিকদের ব্রিফিং করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। পরবর্তিতে সুশীল সমাজের সাথেও ফ্রন্ট নেতারা মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সময় ও দিন নির্ধারণ হয়নি।
তিনি বলেন, বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সদস্যদের নাম আমরা গণমাধ্যমকে জানাবো।
কত সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি হবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশা করি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আরো দল অন্তর্ভুক্ত হবে। সেজন্য সংখ্যা নির্ধারণ করিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণার পর এই প্রথম ফ্রন্টের নেতারা বিএনপির কার্যালয়ে আসলেন। এর আগে বেশিরভাগ বৈঠক হয়েছে ফ্রন্ট নেতাদের বাসায়। এর মধ্যে গুলশানে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায়ও একটি বৈঠক হয়েছিলো।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭ দফা ও ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ হয়।
সরকারবিরোধী নতুন জোটে বিএনপি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম রয়েছে। প্রথম থেকে থাকলেও মতভিন্নতার কারণে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা শেষ পর্যন্ত ফ্রন্টে এখন নেই।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, প্রেসিডিয়াম সদস্য তানিয়া রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।