ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ প্রদর্শন ছাত্র ফেডারেশনের
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মত্যুর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি এবং আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। সেসময় তারা আইনটি বাতিল ঘোষণা করে এর প্রতি ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ প্রদর্শন করেন। শনিবার সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান ফেডারশেনের নেতারা।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ড, ঢাবি শাখার সাংগঠনকি সম্পাদক সজীব হোসেন, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি সৈকত আরিফ, খুলনা জেলা শাখার আহ্বায়ক আল আমিন প্রমুখ।
সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, মতপ্রকাশের জন্য আজকে টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে। এই বাংলাদেশ আমরা চাইনি। দেশের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবার ও মাফিয়াতন্ত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সবকিছু আজ হুমকির মুখে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ক্রমাগত মিথ্যাচার করা হচ্ছে। মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। মিথ্যুকদের প্রতিহত করতে হবে। মানুষের জাগরণ ছাড়া এই ভণ্ড শাসকদের রুখে দেওয়া সম্ভব নয়।
গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে আগামী এক মাস সারা দেশে সব প্রগতিশীল সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব। ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে আমরা বিক্ষোভ করব।’
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার পুলিশের হামলায় বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সাতজনের নামে নয়টি অভিযোগ করেছে পুলিশ। এটি কণ্ঠরোধের চেষ্টা ও সংবিধান লঙ্ঘন। আজ সন্ধ্যার মধ্যে আটকদের না ছাড়া হলে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য শাহবাগ থানার পুলিশ দায়ী থাকবে। হুঁশিয়ার করতে চাই, জনগণের কাতারে না এলে তারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করতে গেলে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বাম সংগঠনগুলোর ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত এবং সাতজনকে আটকের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের এই হামলার প্রতিবাদে শনিবার সকালে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দেয় ছাত্র ফেডারেশন।