স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর জেএসডির কর্মসূচি
১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা চান আ স ম রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএস ডি ৫টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বুধবার উত্তরায় নিজ বাস ভবনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আ সম রব বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের দর্শনের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেন্দ্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ। উপনিবেশিক প্রভুত্বমূলক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে 'প্রজাতন্ত্র দিবস' ঘোষণা করা; বাঙালি জাতীয়তাবাদকে আরো বিকশিত করে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত জাতিসত্তার সমকক্ষ করা। স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করা, এবং অপশাসন, দুর্নীতিগ্রস্থ ও অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্থলে গণমুখী, গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র নির্মানের লক্ষ্যে 'জাতীয় সরকার' গঠন করা।
এই ৫টি লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করাকে আমরা মৌলিক রাজনৈতিক কর্তব্য বলে চিহ্নিত করেছি বলেও জানান তিনি।
আ স ম রব আরও বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাম্যের ভিত্তিতে নৈতিক এবং মানবিক প্রজাতন্ত্র নির্মাণ করাই হবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উজ্জ্বল স্বাক্ষর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।
আ স ম রবের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের কার্যকরী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান, মো. সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এডভোকেট বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত ৫০ বছরে রাষ্ট্র ও সমাজের বৈষম্য বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন। বাক, ব্যক্তি ও গনমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমাগত সংকুচিত হয়ে আসছে। ভোট চুরি করা, দুর্নীতি ও অপচয় শাসকদের অধিকারে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার কারণে রাজনীতি বিবর্জিত একটা বর্বর সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটেছে। বাংলাদেশ আজ দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে। উপনিবেশিক ঘুণে ধরা শাসন ব্যবস্থা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। এখনই সময় অমানবিক ও অনৈতিক এ শাসন ব্যবস্থা উচ্ছেদ করা।
জে এস ডি ২ মার্চ' পতাকা উত্তোলন দিবস থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বছরব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করবে। এসব কর্মসূচির অন্যতম হচ্ছে ২ মার্চ, ৩ মার্চ, ৭ মার্চ ও ১০ এপ্রিল পালনসহ নিউক্লিয়াসের ভূমিকা এবং প্রবাসী সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান।