খালেদার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
সুচিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ওপর সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দারুণভাবে অসুস্থ। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন যে চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। এমনকি যে হাসপাতালে তিনি ছিলেন, সেখানেও সম্ভব হয় নাই। প্রয়োজনে সুচিকিৎসার জন্য তার বাইরে যাওয়া হয়তো দরকার হবে। এই ব্যাপারে সরকারেরে একটা নিষেধাজ্ঞা আছে আপনারা জানেন।’
‘আমরা দাবি জানাব, এই ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা সেটা প্রত্যাহার করা হোক এবং খালেদা জিয়ার এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক যেন তিনি তার চিকিৎসার প্রয়োজনে যখন যেখানে যেতে চান, তিনি যেতে পারেন’, যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
নজরুল বলেন, ‘যদিও এই নিষেধাজ্ঞাটা অমানবিক ও অযৌক্তিক। কারণ এদেশের ইতিহাস বলে যে, অসুস্থতার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত আছে। এমনকি জেলে থাকা অবস্থাতেও বাইরে যাওয়ার দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই অযৌক্তিক ও অমানবিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা দরকার। খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বার বার বিরোধী দলীয় নেত্রী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে যে, কখন কোথায় চিকিৎসার জন্য যেতে চান। যেটাই প্রয়োজন হবে সেটা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সরকারের উচিত সেটা নিশ্চিত করা।’
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের দ্বিতীয় দফা মেয়াদেও শেষ প্রান্তে, এ ব্যাপারে বিএনপির চাওয়া প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, তাকে সাজাই দেওয়া হয়েছে অন্যায়ভাবে, বিনা অপরাধে। খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত যারা, তাদেরকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
সরককারের উচিত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য হলেও অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিশঃর্ত মুক্তি দেয়া বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে সদস্য পদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘একটি সাংবিধানিক পদের অধিকারীকে দলীয় পদে নিযুক্ত করা দেশের ইতিহাসে একটি নতুন ঘটনা। এটি নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার কার্যালয়কে নগ্ন দলীয়করণের অপচেষ্টা ও অত্যন্ত মন্দ দৃষ্টান্ত।’
অবশ্য গত শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সর্বসম্মতিক্রমে যেসব প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।