বিএনপিতে যেতে চায় না, আ'লীগে সুযোগ পায় না: জিএম কাদের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৫:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
বিএনপির যে অবস্থা তাতে কেউ আর দলটিতে যোগ দিতে চাচ্ছে না। আবার আওয়ামী লীগে কেউ ইচ্ছে করলেই যোগ দিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে খাগড়াছড়ি জেলা জাতীয় পার্টি নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির যে অবস্থা তাতে কেউ আর দলটিতে যোগ দিতে চাচ্ছে না। আবার আওয়ামী লীগে কেউ ইচ্ছে করলেই যোগ দিতে পারছে না। তাই নতুন প্রজন্মের সামনে রাজনীতির জন্য জাতীয় পার্টি একমাত্র সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক মঞ্চ।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষকে হতাশ করেছে। তাই দেশের মানুষের আস্থার একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টি। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টিই দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
এসময় শ্রাবণী চাকমা এবং রোহিনী ত্রিপুরার নেতৃত্বে ২০ উপজাতীয় নেতা জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। চেয়ারম্যান তাদের স্বাগত জানান। এরপর খাগড়াছড়ি থেকে আসা জাতীয় পার্টি নেতারা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাজার জিয়ারত করতে রংপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব এ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আখতার এমপি, এমরান হোসেন মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক-২ এম.এ. রাজ্জাক খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, যুগ্ম যুব বিষয়ক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক শেঠ, সোলায়মান সামি খাগড়া জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বাবু মনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক কেশব লাল দেব, জেলা জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা শাহবাজ উদ্দিন, আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা জেলা নেতা কংজুরী কর্মকার, আবুল কাশেম, জিল্লূর রহমান, চন্দ্রি লাল ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।