স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
বছরব্যাপী কর্মসূচির লক্ষ্য বিএনপির
মাহমুদুল হাসান
🕐 ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে কমিটি-উপকমিটি গঠনে ব্যস্ত সময় পার করছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকে শুরু করে বিজয় পর্যন্ত সূর্যসন্তানদের অবদানের কথা তুলে ধরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বছরটি উদযাপন করতে চায় দলটি। তবে চূড়ান্ত কর্মসূচি এখনো ঠিক করা হয়নি বলে জানা গেছে। দলীয় সূত্র জানায়, স্টিয়ারিং কমিটি এবং উপকমিটির পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে পৃথক কর্মপন্থা ঠিক করে দেওয়া হবে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন, তাদের সঠিক মর্যাদা দান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
বিএনপি নেতারা জানান, কীভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হবে, তার একটা রূপরেখা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই রূপরেখার ওপর ভিত্তি করে বছরব্যাপী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। তবে কী ধরনের কর্মসূচি হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। উপকমিটিগুলো গঠন শেষ হলেই কর্মসূচি পালনের চূড়ান্ত রূপরেখা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন করে আরও ২৫ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত ৯ নভেম্বর দলটির পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে ১১৫ সদস্যবিশিষ্ট স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি হয়। গত ২৬ নভেম্বর ৭ সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে বিএনপি। ২৫ জন যোগ করার পর উদযাপন কমিটির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪০ জনে।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চলছে- এটা ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার অর্জনের যে যুদ্ধ, তা ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে। এটা জাতির জন্য অনক বড় সুখবর। আমরা সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে জানাতে চাই, যারা এ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করছেন, তাদের স্মরণ করা। যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লাভ করা এটা পর্যালোচনা করে দেখা, নতুন প্রজন্মকে জানানো। তিনি বলেন, যুদ্ধটা কারও একার ছিল না। এখানে কৃষক, শ্রমিক, সামরিক বাহিনী, রাজনৈতিক দল, ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় হয়েছে। তারও একটা পর্যালোচনা থাকবে। পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটও জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কর্মপন্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, এখনো কোনো কর্মপন্থ ঠিক করা হয়নি। আমরা আগে উপকমিটিগুলো করব। তারপর সবার সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি ঠিক করা হবে। তিনি বলেন, ৯ মাস যুদ্ধ করে একটি দেশে স্বাধীন করা হয়েছে। ৫০ বছর হতে চলছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য জিয়াউর রহমানসহ যার যার অবদান আছে, তা আমরা তুলে ধরব। এখনো পাওয়া না পাওয়ার গল্প আছে। এগুলো নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই। ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। যেখানে যার যে অবদান, তা আমরা তুলে ধরব।