ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোট দানে বিরত রাখতে আ.লীগ সবধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে: জাহাঙ্গীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২০

৯ম দিনের মতো আজ শনিবার সকাল ১০টায় তুরাগ থানার রানাভোলা থেকে ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শুরু করার কথা ছিল। পুলিশের অনুমতি নিয়ে এ কর্মসূচি দেয়া হয়। সে অনুযায়ি, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ বিএনপির ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, যুবদলের সাংগঠনিক মামুন হাসানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা রানাভোলায় জামায়েতও হন। কিন্তু আওয়ামী নেতাকর্মী ও প্রশাসনের লোকজন তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সরকারের সকল বাধা উপেক্ষা করে জীবন দিয়ে হলেও জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে ৭ নম্বর সেক্টরে লেখক ড্রাইভ রোড, চৌরাস্তা, রবীন্দ্র সরণি রোড, হাউজ বিল্ডিং, মাসকট প্লাজার সামনে এসে বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে গণসংযোগ শেষ করেন। বাধা উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মীরা এস এম জাহাঙ্গীরের গণসংযোগে অংশ নেন। এ সময় খালেদা জিয়ার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই, ভোট দিবেন কিসে, ধানের শীষে, মা বোনদের বলে যাই ধানের শীষে ভোট চাই ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে পুরো এলাকা। এর আগে সকালে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এস এম জাহাঙ্গীর।

এস এম জাহাঙ্গীর বলেন আমাদের আজ ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশের অনুমতি নিয়ে গণসংযোগের কর্মসূচি দিয়েছিলাম। রানাভোলায় আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আমাদের যেসব নেতাকর্মী জমায়েত হয়েছিলেন, তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসন ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এভাবে হলে তাহলে নির্বাচন কী হবে?

তিনি আরও বলেন, আমরা যে এলাকায় কর্মসূচি দিয়েছি- ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন রাস্তায় রাস্তায় লাঠিসোঠা হাতে মিছিল করছে। কেন মহড়া দিচ্ছেন? আওয়ামী লীগ চায় একটা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে যাতে আমরা প্রচার করতে না পারি। সে জন্য তারা এসব পাঁয়তারা করছেন। আমাদের দল থেকে আমাদের নেতারা সর্বোচ্চ ধৈর্য্য সহকারে প্রচার চালিয়ে যেতে বলেছেন। আমরাও তাই করছি।

বিএনপির এ প্রার্থী আরও বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী চাচ্ছে না জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাক। এ জন্য তারা বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাস করছে, বিভিন্নভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের হুঁমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা যেখানে কর্মসূচি দিচ্ছি গত ২৪ অক্টোবর থেকে সেখানে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। অথচ প্রতিটি কর্মসূচি দেয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ি পুলিশের অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি দেই। যেখানে আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে কর্মসূচি করেছে-এমন স্থানে কর্মসূচি দিলেও সেখানেও তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। ঢাকা-১২ আসনের উপনির্বাচনে ভোটাররা ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আবার এরই মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে জনগণের সাড়া দেখে আওয়ামী লীগ ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। যার কারণে জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় সেজন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী সবধরণের কর্মকাণ্ড করছে, পরিকল্পনা করছে।

এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের দলীয় কোনো কোন্দল নেই। এখানে সবাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ। যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন সবাই নিজ উদ্যোগে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। নেতাকর্মীসহ এই এলাকার সব মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। জনগণই আমাদের শক্তি। এবার ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ভোট কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্ট থাকবেন, ভোটারদের সহযোগিতা করতে নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রের আশপাশে থাকবেন।

প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধানের শীষের এ প্রার্থী ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমরা সুশাসন দেব। গুম, খুন, হত্যা, নারী নির্যাতন, কোভিড নিয়ে সাহেদ-সাবরিনার মতো ঘটনাগুলো জনগণের সহযোগিতা নিয়ে সবাই মিলে প্রতিহত করবো। সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ব।

গণসংযোগে জাহাঙ্গীরের সাথে ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, মামুন হাসান,সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

 
Electronic Paper