সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না: আমীর খসরু
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২০
এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মোবাইলে যুক্ত হয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ তাদের দেওয়া ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হতে দেখতে চায়। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না ভোট ডাকাতির কারণে। সরকার কিছুদিন আগে ঢাকা-৫ এ ভোট ডাকাতি করেছে, এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভোট ডাকাতি করেছে। এখন উত্তরায় (ঢাকা-১৮ উপনির্বাচন) ভোট ডাকাতি প্রস্তুতি চলছে। সেখানে ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর বসে থাকলে হবে না।
আমীর খসরু বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে মুক্ত হওয়ার জন্য। বাংলাদেশ আজকের ধর্ষণ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছে, আইনের শাসন ফিরে পেতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে। বাংলাদেশ আজকে দুর্বৃত্তদের দেশ, ধর্ষণকারীদের দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হলে যে ভোট ডাকাতি চলছে এটা আমাদেরকে বন্ধ করতে হবে। এখন সময় এসে গেছে। আর ভোট ডাকাতি করতে দেওয়া যাবে না।
ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনের দিকে জনগণকে চোখ রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার আমরা দেখতে চাই, একটি নির্বাচিত সংসদ আমরা দেখতে চাই। এই অনির্বাচিত সরকার বছরের পর বছর দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণকে বাইরে রেখে, তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণভাবে আইন লংঘন করে তারা দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেটা চালাতে একটা ভয়-ভীতি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না। উত্তরায় ভোট চলছে আপনার চোখ রাখুন উত্তরা ভোটের দিকে। সেখানে যদি ভোট ডাকাতি হয় তাদের প্রতিহত করার জন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসির সভাপতিত্বে মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ,এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, বিভাগীয় সম্পাদক হালিম প্রমুখ।