ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শাহজাহান সিরাজের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
🕐 ১:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক সাবেক মন্ত্রী শাহজাহানসিরাজের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গায় সরকারি শামসুল হক কলেজ মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়।

এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মরদেহ ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পৌঁছালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।

উল্লেখ্য, শাহজাহান সিরাজ  মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বর্নাঢ্য রাজনীতিবিদ শাহজাহান সিরাজ ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ  জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল গণি মিয়া এবং মা রাহিমা খাতুন। বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার বেতডোবায়। শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী রাজনীতির ‘চার খলিফা’র একজন। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তৈরির পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহানসিরাজ।

শাহজাহান সিরাজ একজন তুখোড় ছাত্রনেতা হিসেবে ষাটের দশকে বঙ্গের আলীগড় খ্যাত টাঙ্গাইলের করটিয়ার সরকারি সা’দত কলেজের ছাত্রসংসদের ২ বার ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দক্ষ, জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ শাহজাহান সিরাজ জাসদ ও বিএনপির প্রার্থী হয়ে ১৯৭৯, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ৫ বার টাঙ্গাইল- ৪ (কালিহাতী) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি বিএনপি সরকারের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী, বন ও পরিবেশ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতার পর শাহজাহান সিরাজ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি জাসদ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদান করে ভাইস চেয়ারম্যান হন।

শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি কালিহাতী উপজেলা সদরে কালিহাতী শাহজাহান সিরাজ কলেজসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে রাজিব সিরাজ শুভ এবং এক মেয়ে ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

 
Electronic Paper