তহবিল গঠনসহ চার দফা দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০
অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক-শ্রমজীবীদের জন্য আপদকালীন বিশেষ তহবিল গঠনসহ চার দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি মনোযোগ ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১. দেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা শতকরা ৮৫ শতাংশ। রপ্তানিমুখী শিল্প শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য ৫০০০ কোটি টাকার তহবিলের মতো এসব অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক-শ্রমজীবীদের জন্য আপদকালীন বিশেষ তহবিল গঠন এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা তাদের মধ্যে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা।
২. স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী বলা যায় যে, কেউই করোনা ভাইরাস রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখাতে চায় না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, প্রথম থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ শনাক্তকরণের বিষয়টি সর্বাপেক্ষা জোর ও তাগিদ দেওয়া হলে বাংলাদেশে এখনও এ শনাক্তকরণ পরীক্ষার সংখ্যা কম। আমেরিকা ও ইতালিকে এরই খেসারত দিতে হয়েছে। বাংলাদেশে এখনও বহু করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্তকরণ ছাড়াই মৃত্যুবরণ করছে। এদিকে তাদের দাফন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি ডায়গনিস্টিক সেন্টার, বিএসএমএমইউসহ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসমূহকে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করণের অনুমোদন দেওয়া। তারা তাদের ফলাফল আইইডিসিআরকে এবং তাদের মাধ্যমে প্রকাশ করবে যাতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থাকে। একইসঙ্গে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বাস্তবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরীক্ষা কার্যক্রমকে সক্ষম করা। এক্ষেত্রে কথা ও বাস্তবের ফারাক দূর করা।
৩. করোনা ভাইরাস পরীক্ষা কাজে ইপিডোমিলিজিস্ট ভাইরোলজিস্ট ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের সম্পৃক্ত করা এবং সেভাবে জাতীয় কমিটি পুনর্বিন্যাস্ত করে তা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নেতৃত্বে নিয়ে আসা।
৪. রাজনৈতিক দলগুলোই জনমতের প্রতিনিধিত্বকারী। প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে এ জাতীয় প্রতিরোধে সব রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা। বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোকে বাঁচাতে তাদের মূল দায়িত্ব দেওয়া।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয় যে, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আর বিস্তৃত হবে না। তবে কোনো কারণেই সতর্কতা বাদ দেওয়া যাবে না।