ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আ.লীগে অস্বস্তি বিদ্রোহী নিয়ে

চসিক নির্বাচন

আরিচ মাহামুদ, চট্টগ্রাম
🕐 ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (চসিক) কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি পড়ে গেছে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ৫৫টি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ২৭৮ জন প্রার্থী। যাদের অধিকাংশ বিদ্রোহী। তবে প্রার্থীরা বলেছেন, জনগণের চাপে তারা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। দলীয় মনোনয়নের বাইরে অনেকে প্রার্থী হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন মেয়রসহ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা।

প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলরদের মনোনয়ন দিয়েছে। তবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজসহ সাংগঠনিক নানা অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৪ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত পাঁচজন কাউন্সিলরকে বাদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে বাদ পড়া কাউন্সিলররাও নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।

তাদের দাবি- জনগণের চাপে নির্বাচন করতে হচ্ছে। মনোনয়ন বোর্ডে কেন্দ্রীয় নেতাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনজুমান আরা বেগম জানান, তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের কারণে। তিনি মনোনয়ন বোর্ডে আপিল করেছেন।

দলীয় মনোনয়ন ফিরে পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নতুন নির্বাচনে আসা কাউন্সিলর প্রার্থীরা জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড স্বচ্ছতা, জনসম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনা করে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও প্রতিযোগিতা করে জয়ী হওয়ার আশা নতুন প্রার্থীদের।

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থিতা ঘোষণার পর অস্বস্তি বেড়েছে আওয়ামী লীগে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এতে হস্তক্ষেপ করবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল সর্বশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টিতে ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১১টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হন। এবার এদের ১৯ জন কাউন্সিলরকে বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।

 
Electronic Paper