ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জনগণের খেদমতে জীবন উৎসর্গ করব : ইশরাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২০

জনগণের খেদমত এবং উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত ১৮ দিন ধরে আপনারা আমার নির্বাচনী প্রচারণার কাজ নিরলসভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। সেজন্য আমি সাংবাদিক ভাই-বোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি মুক্তিযুদ্ধের ধারণা বিশ্বাস করি। আমি মনে করি জনগণ হবে একটা দেশের প্রকৃত মালিক। জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক।

ইশরাক বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আমরা সবচেয়ে নিচে। দূষিত নগরীর তালিকায় এক নম্বরে। কিছুদিন আগে নারী ও শিশুদের জন্য অনিরাপদ শহরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেই তালিকায়ও ঢাকা ছিল এক নম্বরে। আমি ঢাকার সন্তান। এখানে আমার বেড়ে ওঠা। এই সমস্যাগুলোর মধ্য দিয়ে আমি বেড়ে উঠেছি।

এ সমস্যাগুলো আমার জানা রয়েছে। আমাকে বিএনপির পক্ষ থেকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচন করার। আমি আপনাদের বলতে চাই, এই শহর বাসযোগ্য করার জন্য যা যা করণীয় আমি সব করব। জনগণের খেদমত এবং নগরবাসীর উন্নয়নে আমি নিয়োজিত থাকব সবসময়। প্রয়োজনে আমার জীবন উৎসর্গ করব।

বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী। নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। যেখানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) নিজের প্রচারণায় হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আমার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলাম। বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি। সবাই আমাকে খুব সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে। এসব এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে আমি দেখা করেছি। কথা বলেছি। মতবিনিময় করেছি। কিন্তু গতকাল প্রচারণা শেষে ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে দিয়ে আসার সময় বাসার ছাদ থেকে অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিন সাংবাদিকসহ ১২ নেতাকর্মী আহত হন।

 
Electronic Paper