চ্যালেঞ্জ থাকলেও ‘ইম্পসিবল’ বলে কিছু নেই: আতিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যদি আমিসহ আমার কাউন্সিলররা বিজয়ী হই, তাহলে আমি ও আমার কাউন্সিলরদের প্রতি বছর আয়ের হিসাব দেব। স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত সিটি গড়ার জন্য আমি তা নিশ্চিত করব। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও ‘ইম্পসিবল’ বলে কিছু নেই, এমন মন্তব্য করেছেন আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
আর এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আগামী ৩০ জানুয়ারি সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় আগারগাঁও তালতলা শতদল কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মেয়রপ্রার্থী আতিকুল বলেন, আয়-ব্যয়ের হিসাবই শুধু নয়, প্রতি বছর একটি করে স্মৃতি হল মিটিং করার চেষ্টা করব, যেটা হবে জবাবদিহিতার মিটিং। নিজেদের আয়ের হিসাব দাখিলের মিটিং। এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ অনেক। কিন্তু আমরা মনে করি, ইম্পসিবল বলে দুনিয়াতে কিছু নেই। সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি ইনশাল্লাহ আমরা পসিবল হবোই হবো, ইনশাল্লাহ…। আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আগামী ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন। এজন্য আমি নেতাকর্মীদের সবাইকে অনুরোধ করবো, আপনারা প্রত্যেকে মানুষের দ্বারে দ্বারে যান, সেখানে গিয়ে উন্নয়নের কথা বলুন।
তিনি বলেন, আমরা চাই ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যার সমাধান করার জন্য। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে কাউন্সিলর ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে সমাধান করা হবে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় তার কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরে আতিকুল বলেন, এই এলাকায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা করেছি, যেখানে আলাদা সাইকেল লেন স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে থাকবে গাড়ি পার্কিং, সাইকেল লেন, বাগান। এলাকার মানুষজন এই সড়কে বিনোদন পাবেন, হাঁটতে পারবেন।
‘আমাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে ছিল সড়কে সাইকেল লেন স্থাপন করার প্রতিশ্রুতি। সেটা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে এই সাইকেল লেন। সেটা আমরা শুরু করতে পেরেছি, কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার এ নির্বাচনী এলাকায় সাতটি খেলার মাঠ উন্মুক্ত করেছি, সেখানে খেলার মাঠ, পার্ক করা হবে। ছোট ছোট কিছু জায়গা আছে, যেখানে বড় ধরনের কোনো খেলার মাঠ করা যাবে না, সেখানে বাচ্চারা যাতে খেলতে পারে সেজন্য এসব ছোট ছোট খেলার মাঠকে শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
‘যত বেশি খেলার মাঠ থাকবে তত বেশি আমাদের যুবকরা, তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ পাবে, মাদক থেকে দূরে থাকবে। সবাইকে অনুরোধ করব, আসুন, মাদককে আমরা প্রতিরোধ করি, যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করি। কোনো কিছুই সফল হব না যদি আমরা মাদক প্রতিরোধ করতে না পারি। আমাদেরকে মাদকের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতে হবে’-যোগ করেন আতিকুল ইসলাম।
আতিক আরও বলেন, দীর্ঘ নয় মাস আমি কঠিন অনুশীলন করেছি। এর মাঝে বেশকিছু উন্নয়নও হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আগারগাঁওয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চেয়েও বড় সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। ১০ কিলোমিটার সড়ক সাইকেল চলার উপযোগী করা হয়েছে। এই সড়কে সবাই বিনোদনের জন্য আসতে পারবেন। বসার ব্যবস্থা থাকবে, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। মোহাম্মদপুরে ৭টি পার্ককে আধুনিকায়ন করেছি। কিছু খালি জায়গা তবে ছোট সেগুলো বড় মাঠ বা পার্ক করা যাবে না। তাই সেগুলোকে শুধু শিশুপার্ক করার জন্য কাজ শুরু করেছি। আমাদের সব উন্নয়ন ঠিকমতো হবে যদি যুব সমাজ মাদকমুক্ত থাকে। এজন্য তাদেরকে বিনোদন এবং খেলার মধ্যে রাখতে হবে।
আগারগাঁও থেকে মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির ৩০, ৩১ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ফোরকান হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হামিদা আক্তার মিতা।
এ নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন খান।