কেরানীগঞ্জের অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসাধীন সকল রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ভার সরকারিভাবে বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেরাণীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসাধীন সকল রোগীর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। চিকিৎসাধীন মোট ৩২ জন অগ্নিদগ্ধ মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ২২ জনের মধ্যে ১০ জনের প্রায় শতভাগ ক্ষতি হয়েছে। বাকীদের অবস্থাও আশংকাজনক মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে অগ্নিদগ্ধ সকল রোগীর চিকিৎসা ব্যয় সরকারিভাবেই বহন করা হবে।
অগ্নিকাণ্ডে ভবন মালিকদের আইনের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশিরভাগ ভবন মালিক সরকারি নির্দেশনা মেনে মিল কল-কারখানা নির্মাণ করেনি। এ বিষয়টি আর মেনে নেয়া হবে না। এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে ভবন মালিককে সরকারিভাবে চাপ প্রয়োগ করা হবে।
এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট-এর প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় অবস্থিত ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র প্লাস্টিকসামগ্রী তৈরি কারখানায় বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎই গ্যাস রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ আরও অন্তত ৩২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হলো।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন জানান, কিভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
তবে প্লাস্টিক গলানোর যে মেশিন (বয়লার মেশিন) সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
