ড্যাবের সংবাদ সম্মেলন
খালেদা জিয়ার শারীরিক পঙ্গুত্ব হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতারা। খালেদা জিয়ার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ না দিলে চিকিৎসক সমাজ চুপ থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানান চিকিৎসক নেতারা। তারা জানান, খালেদা জিয়া এত অসুস্থ যে তিনি কারও সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া এমনকি শরীরের তীব্র ব্যথার কারণে ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না। যে কোনো সময় তার শারীরিক পঙ্গুত্ব হয়ে যেতে পারে। তিনি সুচিকিৎসা পেলে এ অবস্থা হতো না। ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, ‘আমরা আশা করি মাননীয় আদালত তাকে তার প্রাপ্য জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেবে। অন্যথায় আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ডা. শামীম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ ডিসেম্বর আদালত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের কাছে বিএনপি চেয়ারপাসনের মেডিকেল রিপোর্ট তলব করেছে। তিনি বলেন, ১/১১ সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত একটি ভিত্তিহীন মামলায় আদালতের রায়ে বর্তমানে তিনি কারাবন্দি আছেন। একই সময়ে একই রকম মামলা যা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নামেও ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অন্যরাও অধিকাংশ জামিনে আছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বেগম খালেদা জিয়া তার স্বাভাবিক আইনগত অধিকার থেকেও বঞ্চিত।
ডা. শামীম বলেন, গত সোমবার ডাক্তাররা বেগম খালেদা জিয়ার ওজন মাপতে বারবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তীব্র ব্যথায় তিনি বিছানা থেকে নামতে পারেননি। ভয়ংকর ব্যাপার হলো ওনার ডান পায়ে একটি গুঁটি উঠেছে যা স্পর্শ করা মাত্রই তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। যেটি পরবর্তীতে আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। ড্যাবের এই নেতা বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে বেগম জিয়া রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিসের জন্য একটি ওষুধ খাচ্ছেন যা কিনা লিভার, কিডনিসহ রক্তের সব কোষসমূহ কমিয়ে দিয়ে প্যানসিটোপেনিয়া নামক ভয়ঙ্কর এক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া ম্যাডামের ডায়াবেটিস কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কারণ একটা ছোট বদ্ধ ঘরে এত দিন হাঁটা-চলার সুযোগ পাননি। তার চোখ শুকিয়ে যায় তাই দিনে কিছুক্ষণ পরপর আর্টিফিসিয়াল টিয়ার দিতে হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. মো. আবদুস সেলিম, ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ডা. মাসুম বিল্লাহ, ডা. গালিব প্রমুখ।