চলতি বছর জুলাইয়ে জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে শাহতা জারাব এরিককে নিজের কাছে রাখতে চাইছিলেন মা বিদিশা। তবে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকা এরিকের সঙ্গে দেখা করাটা সহজ ছিল না বলে জানান তিনি।

বিদিশা দাবি করেন, এরিকের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা তাকে ওই বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে একরকম জোর করেই বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদের বাসভবনে ওঠেন বিদিশা। ওই ভবনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন এরিক।

গতকাল রোববার বিদিশা সাংবাদিকদের বলেন, এরিকের একটা ফোন পেয়ে আমি এসেছি। ওরা (কর্মচারীরা) এরিককে খেতে দিচ্ছে না। গাড়ির চালক আওয়াল (এরশাদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক) তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। ও আমাকে বলল, যে ভয় পাচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে চলে আসি। সেদিন রাতে এসে শুনি, এরিককে ওরা রাতের খাবার খেতে দিত না। এরিকের ওজন কমে গেছে। সে নিজেও খুব ভীতসন্ত্রস্ত ছিল।

এরিকও সাংবাদিকদের বলেছেন, বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে তিনি কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গতকাল বিদিশা তার ফেসবুকে পেজে এরিকের একটি ভিডিও আপলোড করেন। তাতে এরিককে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশে বলতে দেখা যায়- প্রিয় হোম মিনিস্ট্রি আঙ্কেল, আমি এরিক বলছি। আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে খেতে দেওয়া হতো না। আমার লিগ্যাল গার্জিয়ান আমার চাচা জি এম কাদের নন, আমার মা। সেক্ষেত্রে ওনার (জি এম কাদের) তো কোনো রাইট নাই, আমাদের এরকম টর্চার করার।

এরশাদ তার মৃত্যুর আগে এরিকের ভরণপোষণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করে যান। সেই ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন এরশাদের ভাতিজা ও জাতীয় পার্টির সভাপতিম-লীর সদস্য খালেদ আখতার। এরিকের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ায় বিদিশার অভিযোগ রয়েছে খালেদের বিরুদ্ধেও।

খালেদ উল্টো বিদিশাকে দোষারোপ করে বলেন, তিনি (বিদিশা) প্রায় উটকো লোক নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে আসেন। চেয়ারম্যান স্যারও তার জীবদ্দশায় বলে গেছেন, বিদিশা যেন এই বাড়িতে না আসে।

জি এম কাদেরকে উদ্দেশ করে বিদিশা বলেন, এরিককে নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। আমি মুখ খুললে কিন্তু অনেকের অনেক রাজনৈতিক সমস্যা হতে পারে।

বিদিশা বলেন, আমি এরিককে নিয়ে থাকতে চাই। এরিক যেখানে থাকতে চাইবে, আমি সেখানেই থাকব। সে যদি এখান থেকে আমার গুলশানের বাসায় থাকতে চায়, তাও আমি মানব। আর এটা তো (প্রেসিডেন্ট পার্ক) তো এরিকেরই বাড়ি।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদ আখতার বলেন, অপেক্ষা করেন ক’দিন। আমাদের চেয়ারম্যাইন সব বলবেন।