বাদলের লাশ আসছে আজ, দাফন শনিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
জাসদের কার্যকরী সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈনউদ্দীন খান বাদলের লাশ দেশে আসছে আজ শুক্রবার। শনিবার চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মা-বাবার পাশে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঈন উদ্দিন খান বাদল।
বাদলের ছোট ভাই মনির উদ্দিন আহমদ খান জানান, ‘বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার পাশেই বাদল ভাইকে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার লাশ দেশে পৌঁছলে জানাজার সময় নির্ধারণ করা হবে।’
জানা গেছে, বাদলের গ্রামের বাড়ি সারোয়াতলীর খান মহলে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। বাড়ির সামনে চলছে তাকে শেষ বারের মতো বিদায় জানানোর প্রস্তুতি। তার বাসভবন থেকে ভেসে আসছে ভাইবোন আর স্বজনদের কান্নার আওয়াজ। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বাদল তৃতীয়।
মনির জানান, দুই সপ্তাহ আগে নিয়মিত চেকআপের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন বাদল। সেখানে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বাগ্মী এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মঈন উদ্দীন খান বাদল ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। তিনি সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন, শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি যখন ভাষণ দিতেন তখন প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে যেত।’
এছাড়া ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বাদল।
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পাকিস্তান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন বাদল।
স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন মইন উদ্দীন খান বাদল।