সম্রাটের মুক্তির দাবিতে আদালত চত্বরে সমর্থকদের ভিড়
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে আনা হয়েছে ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে। অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সম্রাটকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এদিকে সম্রাটকে আদালতে আনার খবরে সকাল থেকেই তার কর্মি ও সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন আদালত সত্বরে।
পুলিশের বাধা উপক্ষো করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের গেট ও মূল গেটে অবস্থান করছেন তারা। এ সময় ‘ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট মুক্তি পরিষদের’ ব্যানারে পুরা আদালত চত্বর পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।
পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘সম্রাটের হাতে হাতকড়া রাজনীতিবিদরা চরম লজ্জিত’। ‘সম্রাট খুবই অসুস্থ মানবতার জননী তাকে বাঁচান।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে গত ০৭ অক্টোবর সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।
আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতি মাসে ঢাকার বাইরেও যেতেন জুয়া খেলতে।
সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এর পর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগৎ। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।