চেয়ারম্যান ফারুকই যুবলীগের ফ্রাঙ্কেনস্টাইন!
শফিক হাসান
🕐 ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৯
চলমান শুদ্ধি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে যুবলীগের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে বহুলপ্রচলিত প্রবাদটি- ‘লোম বাছতে কম্বল উজাড়’! আওয়ামী লীগের সহযোগী এ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনেকে দলীয় প্রভাব-প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে অনৈতিক উপায়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়, সৃষ্টি করেছেন অপরাধের স্বর্গরাজ্য। শুদ্ধি অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার চিত্রে হতবাক হয়েছে দেশবাসী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায় বছরের পর বছর কীভাবে অবৈধ ক্যাসিনো চালানো হলো সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
উপর্যুপরি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত যুবলীগের অনেক নেতাকর্মী পালিয়ে গেছেন; কেউ কেউ চেষ্টা করছেন দেশত্যাগের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। এ অভিযানে আটক হয়েছেন যুবলীগের কয়েকজন নেতা; সংগঠনের পদ-পদবি ব্যবহার করে এরা গড়ে তুলেছিলেন টাকার পাহাড়।
অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগ নেতাকর্মীদের যে নৈতিক স্খলন, অধঃপতন ও স্থানচ্যুতি এর নেপথ্যে রয়েছে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর অর্থলোভ ও ‘ব্যবসায়িক’ মনোবৃত্তি। যুবলীগকে তিনি আওয়ামী লীগের সহায়ক সংগঠন হিসেবে গড়ে না তুলে ব্যক্তিগত লাভালাভেই ব্যবহার করেছেন। স্বাধীনতা দিয়েছেন দলের নাম ভাঙিয়ে অন্যায়-অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার।
নেতার বদলে সৃষ্টি করেছেন অপরাধী, সমাজসেবকের বদলে জন্ম দিয়েছেন সমাজবিরোধী ও অপকর্মের হোতাদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগে ওমর ফারুক চৌধুরীর ভূমিকা ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের। বিশ্বসাহিত্যের জনপ্রিয় চরিত্র ফ্রাঙ্কেনস্টাইন যেভাবে নিজে টিকে থাকার জন্য স্রষ্টাকেই মেরে ফেলে, সেই পথেই হেঁটেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। দেরিতে হলেও আওয়ামী লীগের বোধোদয় হয়েছে-কেন্দ্রীয় যুবলীগের কতিপয় বড় নেতাকর্মী দলের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরাধজগতের সম্রাটদের একচ্ছত্র আধিপত্যের সুযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান নিজেই! সংস্থার প্রধান হিসেবে যেখানে কোথাও অসঙ্গতি দেখলে লাগাম টানার কথা, উল্টো নিজেই জড়িয়েছেন নানা অনিয়মে। তার মুখের কথাই যুবলীগে আইন, যাকে যখন খুশি বহিষ্কার করেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতেও সময় নেন না।
যুবলীগের শুরুটা ছিল অত্যুজ্জ্বল। বাংলাদেশের জন্মের পরের বছরই প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শেখ ফজলুল হক মনি। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ, আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয় বিনির্মাণই ছিল আওয়ামী যুবলীগের মূলমন্ত্র। সত্তর ও আশির দশকের টালমাটাল সময় থেকে শুরু করে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যুবলীগ রেখেছিল কার্যকরী ভূমিকা। পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে শহীদ হওয়া নূর হোসেন ছিলেন যুবলীগেরই সদস্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ট্রাজেডিতে সপরিবারে জাতির জনককে হত্যার প্রতিবাদে সর্বপ্রথম প্রতিবাদ গড়তে গিয়ে জীবন দেন যুবলীগ নেতা বগুড়ার খসরু ও চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দ। জীবনদানকারী যুবলীগ কাল পরিক্রমায় জীবন সংহারকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। একশ্রেণির নেতাকর্মী প্রতিষ্ঠিত করেছে ‘নিপীড়ক’ চরিত্র। বেপরোয়া ভূমিকা ক্রমশ দলের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে।
ছাত্রলীগ-যুবলীগের যে কোনো অন্যায় অপকর্মের দায়ভার শেষপর্যন্ত মূল দল আওয়ামী লীগের ঘাড়েই বর্তায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। সে সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, কোনো কোনো যুবলীগ নেতা শোভন-রাব্বানীর চেয়েও খারাপ। বস্তুত এরপরই শুরু হয় ‘অ্যাকশন’।
প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের কয়েকজন নেতার প্রতি ইঙ্গিত করলেও চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী কোনো ব্যবস্থাই নেননি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। ঊর্ধ্বতনদের মুখের কথাকেই অধঃস্তনরা পরোক্ষ নির্দেশ হিসেবে গ্রহণ করলেও তিনি ব্যক্তিগত নানা হিসাব-নিকাশে কখনো প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া আমলে নেননি। একবার ক্রসফায়ারের মুখ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের আত্মশুদ্ধি ঘটবে বলে ধারণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে বেরিয়ে এসেছে ঢাকার ক্যাসিনোগুরু সম্রাটের নাম। যেখানে যখন যাকেই আটক করা হয়েছে, সবার মুখেই এই নাম! ক্যাসিনো সাম্রাজ্যে সম্রাট হয়ে উঠেছিলেন ‘মুকুটহীন’ সম্রাট। তাকে যাবতীয় আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহযোগিতা করে গেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। নেপথ্যে রয়েছে আরও গডফাদার। তাদের নাম-পরিচয় এখনো ফাঁস হয়নি। তবে আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা কোথায় কোথায় টাকা দেন।
যুবলীগ নেতা সম্রাটের চাঁদাবাজি ছিল সর্বজনবিদিত। ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে আমি ও রেহানা (বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা) জাকাত দিই, সম্রাট সেখান থেকে চাঁদা দাবি করে! প্রত্যাশিত চাঁদা না পেয়ে সম্রাট একপর্যায়ে বন্ধ করে দেন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ভবন নির্মাণের কাজ। খোদ প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি ওমর ফারুক চৌধুরী। বস্তুত, তখন থেকেই অনেকেই বুঝে গেছেন এ চেয়ারম্যান সাহেব ন্যায়ের পথে নয়, অন্যায়কারীর সঙ্গে যোগসাজশ করে চলতে পছন্দ করেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে সর্বপ্রথম আটক হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে গরম বক্তব্য দিয়েছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। সেই রাতে হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী নিয়ে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তার সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর থেকে সম্রাট আত্মগোপন করেন। ওমর ফারুক চৌধুরী পরিস্থিতি অনুকূলে নেই দেখে গরম অবস্থান থেকে সুর পাল্টে নরম হন। যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কেউ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেই বহিষ্কার করা হবে! সে অনুযায়ী কয়েকজনকে বহিষ্কারও করেছেন তিনি। কিন্তু একপর্যায়ে নিজেই চলে যান পর্দার অন্তরালে।
বর্তমানে স্বেচ্ছাবন্দি জীবনযাপন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তার বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়- তার ব্যাংক হিসাব ও লেনদেনের তথ্য যাচাইয়ের। গত শুক্রবার তাকে ছাড়াই যুবলীগের মিটিং হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কাউন্সিলে বাদ পড়তে পারেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার সংগঠনকে বিতর্কিত সংগঠনে পরিণত করে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেও হয়তো ‘মুলা’ তুলবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার সুযোগ নিয়েই ওমর ফারুক চৌধুরী ক্রমান্বয়ে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে উঠেছেন। সুযোগসন্ধানীরা প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নাম ভাঙাচ্ছে বুঝতে পেরে সম্প্রতি শেখ হাসিনা নিজ পরিবারের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। ওমর ফারুক চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ফুপাতো বোনের স্বামী; আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।
ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্রাট গ্রেফতার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘অপেক্ষা করুন, চমক আসছে’। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেই চমক কি ওমর ফারুক চৌধুরীকে গ্রেফতার? এমন আভাসও মিলছে।
৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০৯ সালে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ২০১২ সালে চেয়ারম্যান হন। পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি আরও বেশি স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেন। একক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতাই ভরাডুবির পথে নিয়ে গেছে তাকে। যুবলীগের যাকেই ধরা হচ্ছে বেরিয়ে আসছে টাকার পাহাড়।
এমন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কল্পনাও করতে পারেন না লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা ও টেন্ডার মোগল জি কে শামীম, কৃষকলীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রক সেলিম ভূঁইয়া, সর্বশেষ গ্রেফতার হয়েছেন মিজানুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান। এদের সবার কাছেই পাওয়া গেছে অবিশ্বাস্য পরিমাণ টাকা। দেশে-বিদেশে একাধিক বাড়ি-গাড়িও রয়েছে অনেকের। চমক হিসেবে বেরিয়েছে তাদের ‘সংস্কৃতিচর্চা’র বিষয়ও।
এনামুল হক আরমান চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, অন্যদিকে টেন্ডারবাজ জি কে শামীম ‘উপঢৌকন’ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় নায়িকা পাঠাতেন। সংশ্লিষ্টদের মনোরঞ্জনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিতেন কোটি টাকার কাজ। এরপর একের পর এক গ্রেফতারকৃত এসব নেতার অপরাধ সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে বেরিয়ে আসছে যুবলীগের নেপথ্যের নানা কেচ্ছাকাহিনী। চম্পট দিয়েছেন পাড়ামহল্লার যুবলীগ নেতারাও।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খলনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের আবির্ভাব নায়ক হিসেবেই। অভিনয় করেছিলেন ‘টাকার পাহাড়’ নামের একটি চলচ্চিত্রে। কে জানত, এক সময় সত্যিকারের টাকার পাহাড়ের সন্ধানই পাবে দেশ!
চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে সংস্থাটি। কিন্তু পলাতক রয়েছেন অনেকেই। চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত বহিষ্কার হবেন না, নেওয়া হবে না কোনো ব্যবস্থাও!
দলের জন্য ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে ওঠা ওমর ফারুক চৌধুরীই অপরাধীদের একমাত্র শেল্টারদাতা নন। রয়েছেন আরও অনেকেই। গডফাদাররা এখনো আড়ালেই থেকে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গায়ে ছাত্রলীগ যতটা কলঙ্কের ছিটা দিয়েছে, তার চেয়ে খুব একটা কম দেয়নি ওমর ফারুক চৌধুরীর যুবলীগ। পার্থক্য হচ্ছে যুবলীগের অন্যায়-অপকর্ম ইতিপূর্বে সেভাবে সামনে আসেনি। আড়ালে থেকেছে চাঁদাবাজি অস্ত্রবাজি টেন্ডারবাজি দখলবাজির মতো অপরাধ।
ওমর ফারুক চৌধুরী একেবারেই যে বহিষ্কার করেননি তা নয়। যুবলীগ দফতর সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে প্রায় ২০ জন নেতাকে বিভিন্ন সময় বহিষ্কার করা হয়েছে। কিছুদিন পরেই তারা আবার যুবলীগে সক্রিয় হতেন। এমনকি বিভিন্ন সভায় বক্তব্যও দিতেন! কৃষিজমি দখলে নিয়ে শিল্প স্থাপন করার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বহিষ্কার হন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আতিয়ার রহমান।
২০১৬ সালের আগস্টে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে বহিষ্কার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। রাজধানী সুপার মার্কেটে র্যাবের অভিযানে আটক হওয়ায় বহিষ্কার করা হয় তাকে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি কৃত্রিমভাবে জুড়ে দেওয়ায় অভিযোগে বহিষ্কার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান। পরে তাদের তিনজনেরই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেন চেয়ারম্যান! এভাবেই নানা সময়ে, নানাভাবে নিজের সুবিধার জন্য স্বেচ্ছাচারী ভূমিকা নিয়ে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে উঠেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তাকে ঠেকানোর কেউ ছিল না!