ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘ক্যাসিনোকাণ্ডে বিএনপিকে দোষারোপের গ্রহণযোগ্যতা নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৪, ২০১৯

ক্যাসিনোকাণ্ডে বিএনপিকে দোষারোপের কোনও গ্রহনযোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন গত জাতীয় নির্বাচনের আগে দলটিকে নিয়ে জোটের উদ্যোক্তা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘গত দশ বছর ক্ষমতায় না থেকে সব কিছু তারা (বিএনপি) করেছে, এটা বলা কী ঠিক। সুতরাং আমাদের কিছুটা বুঝতে হবে এ অভিযোগটার গ্রহণযোগ্যতা নাই।

শুক্রবার ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় সরকার গঠনের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় কামাল একথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অপর শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

ঢাকার ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবের মতো ক্যাসিনোগুলো বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় চললেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি বলে সম্প্রতি দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন, ‘ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে বিএনপি। তাদের সময় এই ক্যাসিনোগুলো ছিল।’

নিজে কোনও দিন বিএনপির সমর্থক ছিলেন না বলে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান কামাল হোসেন বলেন, ‘এই যে ক্যাসিনো, এই ক্যাসিনো যে এই আকারে আছে, এটা কী করে হলো? মানে এটা কী করে ভাববেন যে, সব কিছুই...বিএনপি করে গেছে। আমি তো কোনোদিন বিএনপির সমর্থক ওইভাবে ছিলাম না। আমি বিএনপির বিরোধিতা করে আসছি।’

‘তো কথা হল যে, বিএনপিই সব করেছে...কিন্তু গত ১০ বছর তো বিএনপি ছিল না। এখন এগুলো নিয়ে বিএনপিকে দোষ দেওয়া যায় কি? ’

‘যায় হয়তো! গত ১০ বছরে যেসব অসম্ভব কাজ তারা (আওয়ামী লীগ) করেছে, দশ বছরে দেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার ক্রেটিড তারা দিতে চায় বিএনপিকে। বিএনপি অতীতে অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু গত দশ বছর ক্ষমতায় না থেকে সব কিছু তারা করেছে, এটা বলা কী ঠিক। সুতরাং আমাদের কিছুটা বুঝতে হবে এ অভিযোগটার গ্রহণযোগ্যতা নাই।’

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশের অবস্থা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। আমি তো মনে করি উদ্বিগ্ন না হওয়ার কথা না। এমনকি সরকারি দল যারা করেন, তাদের মধ্যে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।’

‘নেতিবাচক কথা বলে আমরা এখান থেকে চলে যাব, এতে কোনো অগ্রগতি আনবে না। এই সরকারকে প্রত্যাখান করেছি। প্রত্যাখান করতে বাধ্য হয়েছি কর্মকাণ্ডের জন্য। কিন্তু এটা করে তো কোনো লাভ হবে না। যেটা প্রয়োজন সেটা হল- জনগণের ঐক্য, সর্বদলীয় ঐক্য। এই ঐক্য’র শিক্ষা আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছিলাম। তিনি আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছিলেন, ঐক্যের ব্যাপারে আমাদেরকে জাগিয়ে তুলেছিলেন।’

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বাম নেতা সাইফুল হক, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতনসহ অন্যরা।

 
Electronic Paper