গ্রেফতার হতে পারেন সম্রাট
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের দুটি কমিটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন সূত্র। আওয়ামী যুবলীগে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে এই দুই কমিটি ভাঙা হচ্ছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে একটি গোপন সূত্র জানায়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী জানিয়েছেন, যুবলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে সংগঠনের ট্রাইব্যুনালে ডাকা হচ্ছে।
এরা হলেন, যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তারা প্রেরণ করেছে। সেখানে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার কিছু লোকজনের কারণে। এ বিষয়ে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার জন্যও রিপোর্টে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতাদের একটি ছবি দেখান। ওই ছবিতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রহরায় যুবলীগের একজন নেতাকে দেখা গেছে। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে জুয়ার আড্ডায় অংশগ্রহণের অভিযোগ আনেন।
আর গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পর যুবলীগ নিয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের দোয়া অনুষ্ঠান ও যুব জাগরণ সমাবেশের প্রসঙ্গ এলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের এমন কয়েকজন নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘চাঁদাবাজির টাকা হালাল করার জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে। এরপর তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগের একজন নেতা চার থেকে পাঁচজন দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করেন। বড় বড় অস্ত্র নিয়ে অস্ত্রধারীরা তার চারপাশে অবস্থান করে। এ সব দেখলে মানুষের কী ধারণা হয়। তাছাড়া আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। এখন কেন ওই নেতা এত নিরাপত্তাহীনতায় আছেন? এমন যুবলীগের দোয়ার প্রয়োজন নেই’।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, ‘কিছুতেই এসব অপকর্ম সহ্য করা হবে না। অস্ত্রবাজি ও ক্যাডার রাজনীতি চলবে না। যে কোনো মূল্যে এই অপরাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বলা হয়েছে।’