ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সুনসান নীরব এরশাদের পৈতৃক ভিটা দিনহাটা

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:২০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০১৯

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা। কেননা, ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাগের আগে এই শহরেই ছোটবেলা কাটে এরশাদের।

দিনহাটা স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ১৯৪৬ সালে রংপুরে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন তিনি। দেশভাগের পর কোচবিহার অংশ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হলে এরশাদের বাবা মুহম্মদ মকবুল হোসেন দিনহাটার পৈতৃক ভিটে ছেড়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন।

বর্তমান সময়ে এরশাদের একমাত্র জীবিত বাল্যবন্ধু সুধীর সাহা। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ওর (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) মৃত্যু সংবাদ পেয়ে খুব খারাপ লাগছে। আমি ছিলাম ওর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। দেশ ছেড়ে চলে গেলেও নিয়মিত আমায় চিঠি লিখত। ফোন করে কথা বলতো। ২০১৭ সালেও দিনহাটায় এলো। আমি এরশাদকে আনতে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো, ‘তোর জন্যই দিনহাটায় এলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে দিনহাটা হাইস্কুলে পড়তাম। একবার লুকিয়ে একটা বাগানে কুল চুরি করতে গিয়েছিলাম। সেটা জানতে পেরে মকবুল কাকা (এরশাদের বাবা) আমাদের দু’জনকে খুব শাসন করেছিলেন। খুব ভালো ফুটবল খেলত এরশাদ। ফরওয়ার্ড আর গোলকিপার দুটোতেই ভালো খেলত। আমার থেকে দুই বছরের ছোট হলেও এরশাদ ছিল আমার একমাত্র প্রিয় বন্ধু।’

প্রয়াত রাষ্ট্রপতির দিনহাটার বাড়িতে এখন থাকেন তার চাচাতো ভাই মোসাব্বর হোসেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোচবিহার জেলা আইনজীবীর পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত তিনি। মোসাব্বর হোসেন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের প্রধান চলে গেলেন। উনি সারাবিশে^ আমাদের বংশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে। ছোটবেলায় খুব দুরন্ত ছিলেন। ডাকনাম ছিল পেয়ারা। এই নামেই দিনহাটার সবাই তাকে চেনে।’

দিনহাটায় এরশাদের পাশের বাড়িতে থাকেন সাবেক ছিটমহল আন্দোলনের নেতা ও বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘ছিটমহল বিনিময়ের আন্দোলনে উনার ভূমিকা অতুলনীয়। সবসময় উনি আমায় ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ দিতেন। উনার প্রয়াণে দেশভাগের আরও একটা স্মৃতি মুছে গেল। উনার প্রয়াণে আজ দিনহাটা শোকস্তব্ধ।

 
Electronic Paper