ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে আসছে ঐক্যফ্রন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০১৯

আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে গণশুনানি ও কর্মী সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানির প্রতিবেদন বাংলায় এবং ইংরেজিতে প্রকাশ করে তা বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এর আগে স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। তবে এ বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন না।

মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, ২৬ মার্চ সকাল ৯টায় স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে ঐক্যফ্রন্ট। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, নিরাপদ সড়ক, উপজেলা ও ডাকসু নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা এবং সামগ্রিকভাবে নির্বাচনে ছিনতাই করা, দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদে ৩০ মার্চ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে।

৩১ মার্চ বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হবে আলোচনা সভা। এরপর এপ্রিল মাসজুড়ে বিভাগীয় শহরে কর্মী সমাবেশ ও গণশুনানির মতো কর্মসূচি পালন করা হবে। বিভাগীয় কর্মসূচির পর জেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত গণশুনানির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতে পারে।

তিনি বলেন, দেশে অহরহ অপহরণের ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধার করতে পারছে না। স্বাধীনতার খণ্ডিত ইতিহাস প্রকাশ করা হচ্ছে। দেশের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ হতাশ। একদলীয় নয়, বরং এক ব্যক্তির শাসনে দেশ চলছে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, দেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা নতুন নির্বাচনের দাবি করলেও সরকার কর্ণপাত করেনি। কিন্তু আমরা এই দাবিতে এখনো অনড় রয়েছি। ডাকসুতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। নিরাপদ সড়ক দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভোটাররা ভোট দিতে যায়নি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা ইকবাল সিদ্দিকী।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

 
Electronic Paper