ডাকসু নির্বাচন
স্বতন্ত্র প্যানেল দেবে কোটা আন্দোলনকারীরা
ঢাবি প্রতিনিধি
🕐 ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণা চালাচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার নিজেদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করার সম্ভাবনা আছে বলে জানান সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর। মিনি পার্লামেন্টখ্যাত ডাকসু নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযাগ্যতাও রয়েছে তাদের। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হতে তৎপরতা শুরু করেছে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা দেশের দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আবার কারও ধারণা, কোটা সংস্কারের আন্দোলন আর রাজনীতিভিত্তিক ডাকসু নির্বাচন ভিন্ন ব্যাপার। ফলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা এতে প্রভাব ফেলতে পারবেন না।
দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তত আলোচনা বাড়ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতারা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্যানেল ঘোষণা দিতেই যেন সেই আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে। ভোটের হাওয়া লেগেছে ক্যাম্পাসজুড়ে। তবে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর খোলা কাগজকে জানান, আমরা আগামীকাল প্যানেল ঘোষণা করতে পারি, আমরা হল সংসদ ও কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী দেব। যেহেতু সময় আছে আমরা একটু সময় নিয়ে কাজগুলো করতে চাই। আমরা একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্রের পক্ষে রয়েছি। যদি প্রশাসন না চায়, তাহলে হলের বাইরে যে ছাত্র সংগঠনগুলো ভোটকেন্দ্র চায় তাদের নিয়ে আমরা আন্দোলনে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন যদি আমাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে তাহলে হলে কিংবা সিনেট ভবনে নির্বাচন করতে আমরা ইচ্ছুক। হলগুলোতে যেহেতু ছাত্রলীগের আধিপত্য তাই নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে আমরা যেন ক্লাসরুমে প্রচারণা চালাতে পারি সে বিষয়ে প্রশাসনকে গঠনতন্ত্র সংশোধন ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সরকার চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।