ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘ক্ষমতায় গেলে প্রতিশোধ নেবে না বিএনপি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮

ক্ষমতায় গেলে কারো ওপর কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। দেশের উন্নয়নের জন্য বিএনপির কর্মসূচিগুলো বহুমুখী ও উন্নততর। বিএনপি জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করতে চাই যে, ক্ষমতায় গেলে কারো ওপরই কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেয়া হবে না। একটি প্রতিহিংসামুক্ত এবং সহমর্মী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘আজকের এই মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একটি পরিত্যক্ত ভবনে নির্জন কারাবাস করছেন। তার অপরাধ তিনি জীবনে অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে সুন্দর করবার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মানুষের মুক্তি গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে তিনি আজ বন্দী জীবনযাপন করছেন।’

তারেক রহমানের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই দেশে ফিরতে পারছেন না। আমরা আশা করব, আপনারা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকল্পে আপনাদের মূল্যবান সমর্থন প্রদান করবেন। আপনাদের একটি ভোট আমাদের নেত্রীর জীবনকে পুনরায় আলোয় উদ্ভাসিত করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করলে ঐকমত্য, সকলের অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিহিংসাহীনতা এই মূলনীতির ভিত্তিতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ”-সংবিধানের এই নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনার যাবতীয় পদক্ষেপের ভিত্তি হবে রাষ্ট্রের মালিকদের মালিকানা সুদৃঢ় করা। শুধুমাত্র নির্বাচনে জেতা দলের মানুষের নয়, এই মালিকানায় সকল দল, ব্যক্তি ও মতাদর্শ অন্তর্ভুক্ত হবে।’

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘বিগত প্রায় ১০ বছরে দেশে কোনোরকম সুশাসন ও আইনের শাসন ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মামলা, হামলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে এক ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব। জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও সভা সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে।’

 
Electronic Paper