প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুলনাবাসীর সঙ্গে তামাশা : বিএনপি
খোলা কাগজ প্রতিবেদক
🕐 ২:৪১ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৮
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যকে খুলনাবাসীর সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।
গতকাল রোববার গণভবনে খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে খুলনার মানুষের সমর্থন মিলেছে।
এ নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- এমন সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে কবে হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্যের সমালোচনা করেন রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য- খুলনার ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা। অবৈধ ক্ষমতার দৌরাত্ম্যে ভোটারদের অধিকার বঞ্চিত করে এখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন।
তিনি বলেন, ভোটচুরির নতুন মডেলের এ নির্বাচনে খুলনা সিটির অর্ধেকেরও কম ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। যারাও গেছেন তারা ভোট দিতে পারেননি। এমন এক নির্বাচন হয়েছে যে নির্বাচনের পর লজ্জায় আজও নির্বাচন কমিশন কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, যে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। যে নির্বাচনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জালভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের তদন্ত দাবি করছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র বাবার সঙ্গে ভোট দিতে পারে, মরা মানুষ ভোট দিতে পারে, সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে লাইন ধরে সিল মারতে পারে সে নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় এটিই প্রমাণিত হল যে, ভোট ডাকাতির হুকুমদাতা সরকারের শীর্ষ নেতারা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারে অংশগ্রহণ না করার কথা বলছেন, সরকারদলীয় একজন এমপি যিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়, একটানা পনেরো দিন সেখানে অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে কিভাবে খুলনাতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন তা দেশবাসী দেখেছে গণমাধ্যমের বদৌলতে।
রিজভী অভিযোগ করে আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান ও ছাত্রদল উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ আবারও জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগেও অনেকবার তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তরুণ সমাজকে ভীত করার জন্যই রাজীব ও রাজের ওপর এ নির্যাতন। আমি অবিলম্বে তাদের রিমান্ড প্রত্যাহার করে মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।