ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রমজানে আ.লীগের নতুন কৌশল

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৬ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটাই শেষ রমজান। ইফতার পার্টির মাধ্যমে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চাঙ্গার পাশাপাশি সরকারের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন আদায়ের জোর চেষ্টা চালাবে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে থাকছে ইফতার আয়োজন।

ঈদের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তাই রমজানকে কেন্দ্র করে ইফতার মাহফিলের সঙ্গে ভোট প্রস্তুতিকে জোরালো করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মন দিচ্ছেন নেতারা। দলের নেতাদের অভিমত, কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, তাদের খোঁজখবর নেওয়া, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে রমজানই হচ্ছে উত্তম সময়। কেননা এ সময় স্থানীয়ভাবে ইফতারের পাশাপাশি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের একটি মোক্ষম সময়। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় রমজানের প্রথম দিন থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতারের অংশ নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন তারা।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও রমজান মাসজুড়ে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজন করছে।
সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ইফতারের আয়োজন না করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এ বছর ছয় দিন ইফতার কর্মসূচি রেখেছেন। এর মধ্যে ২১ মে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, এতিম, প্রতিবন্ধী শিশু ও আলেমদের সঙ্গে; ২৩ মে বিচারপতি, কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা (সামরিক-বেসামরিক); ২৮ মে পেশাজীবী; ২ জুন আত্মীয়-পরিজন, ৪ জুন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ৬ জুন আইনজীবীদের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্রে জানা গেছে, মাসব্যাপী ইফতার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কার্যত দল ও দলের সহযোগী সব সংগঠনের নেতাকর্মীকে চাঙ্গা করা হবে। শুধু ঢাকাতেই নয়, ইফতার রাজনীতি তৃণমূলে প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি। ইফতার রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই জমে উঠবে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা। রমজানে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী, জামাকাপড় ও জাকাত বিতরণের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা আদায়ের চেষ্টায় থাকবেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ ছাড়া তৃণমূলে যেসব নেতাকর্মীর সঙ্গে এমপি-মন্ত্রীদের দূরত্ব রয়েছে, তা নিরসনের চেষ্টা করবেন এবারের রমজানে।
প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইফতারের আয়োজন রাখা হয়েছে। মহানগরী আওয়ামী লীগের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারা। আওয়ামী লীগ মনে করছে, ইফতারকেন্দ্রিক সাংগঠনিক কর্মসূচিতে দল চাঙ্গা হবে। এসব কর্মসূচিতে মন্ত্রীরাও অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, রমজান মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও দলের নেতাকর্মীদের আয়োজনে বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতারের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি অনির্ধারিত আলোচনায় দলের বর্তমান অবস্থার চিত্র পাওয়া যায়। রমজানে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও ইফতারে অংশ নিয়ে আমরা দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করব।
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের পক্ষ থেকে ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বেশ কয়েকটি জেলায় ইফতারে অংশ নেব। রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও সারা দেশ সফরে যাবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

 
Electronic Paper