‘ভিসানীতিসহ বাংলাদেশের সব অসম্মানের জন্য বিএনপি দায়ী’
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ভিসানীতিসহ বাংলাদেশের সব অসম্মানের জন্য বিএনপি দায়ী। এমকি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে র্যাবের ওপর স্যাংশনস দেওয়ার জন্য কাজ করেছিল। বাংলাদেশের ওপর বিদেশি রাষ্ট্রের ভিসানীতি ও স্যাংশনসসহ সব অসম্মানের জন্য বিএনপি দায়ী।
তিনি বিএনপি মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভিসানীতি সম্পর্কে বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ফখরুল সাহেব বললেন মার্কিন ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরাও সেটা বলেছি। একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য ভিসানীতি অসম্মানজনক।
‘তিনি কি ভুলে গেছেন, তাদের নেতা খালেদা জিয়া ২০১২ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি লিখেছিলেন।’
নির্বাচনে বাধা দিতে এলে বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এই নেতা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা লড়াই-সংগ্রাম করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো পরোয়া করে না। আর সেই নির্বাচন যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করতে আসে, তাদের আমরা রাজপথে প্রতিহত করবো।
হানিফ বলেন, ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘাতকেরা মনে করেছিল স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষার লড়াই শুরু করেন। সেজন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।