এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়: মির্জা ফখরুল
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রংপুর থেকে
🕐 ১:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- আমাদের দাবি একটাই, এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়। তাই বিনীত অনুরোধ করবো এখন এই সংসদ ভেঙে দিন। দলীয় লোক দিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত করুন।
আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে তারুণ্যের রোডমার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ত্ব করেন যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের এক দফা দাবি যদি না মনে হয়, তাহলে লক্ষ লক্ষ তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। কারণ এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি বলেন, এর আগে কুত্তা মার্কা নির্বাচন হয়েছে। কারণ তখন ভোটকেন্দ্রে শুধুমাত্র কুকুর ছিল। সুতরাং আমরা সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার বলছে তাদের অধীনে আগে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবার সুষ্ঠু হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। আদালতে গেলে জামিন দেয়া হয় না বিরোধী আন্দোলনকারী দলগুলোকে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন করতে পারি তাহলে আমরা একটি জাতীয় সরকার গঠন করব।
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে তারুণ্যের রোডমার্চ শুরু হয়েছে। বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে হচ্ছে এ রোডমার্চ শুরু করে।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে রংপুর দলীয় কার্যলয়ের সামনে থেকে শুরু হয় রোডমার্চ। দিনাজপুর গিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের এ কর্মসূচি। আদমদিঘী, সৈয়দপুর ও দশ-মাইলে তিনটি পথসভা হবে।
সমাপ্তির সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। সঞ্চালনা করেন, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় বগুড়া চার রাস্তার মোড় থেকে শুরু করে রাজশাহী শেষ হবে দ্বিতীয় দিনের রোডমার্চ।
এর আগে দেশের ছয় বিভাগে তারুণ্যের সমাবেশ করেছিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এরপর ২২ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি।