‘সংখ্যালঘুদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু আ.লীগই’
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৫২ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৮
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিছু ভুলত্রুটি থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের জন্য আওয়ামী লীগই সবচেয়ে ভালো বন্ধু। এবং ছোট খাটো কিছু বিষয়ে মান-অভিমান করে গুটিয়ে থাকলে আপনাদের, আমাদের শত্রুরাই উপকৃত হবে।
শুক্রবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলেন ২০১৮ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের চেয়ে মাইনরিটিদের আর কোনো ভালো বন্ধু নেই বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমাদের (আওয়ামী লীগ) কেনো বিকল্প নেই। বিকল্প পাকিস্তানের দোসররা। আমাদের বিকল্প তাদের ভাবলে আপনাদের ভুল হবে। শেখ হাসিনা আপনাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের যোগ্যতার অবমূল্যায়ন করেনি। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়াসহ দলের বিভিন্ন কমিটিতে আপনাদের রেখেছেন। শেখ হাসিনার চেয়ে বড় বন্ধু, আপনজন এই দেশে কি আপনাদের আর কেউ আছে? ’
মাইনরিটি নিপীড়ন বিএনপির পলিসি বলে অভিযোগ করেছেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন আসলে মাইনরিটিদের জন্য মায়া কান্না দেখায় দলটি (বিএনপি)। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন মাইনরিটিদের অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। এটা ছিল তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের পলিসি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভুলত্রুটি আমাদেরও (আওয়ামী লীগ) আছে। আমাদের সরকারের সময় মাইনরিটিদের ওপর দুই-একটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। এটা আওয়ামী লীগের পলিসি নয়। দুর্বৃত্তরা এটা ঘটিয়েছে। দুর্বিত্তদের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স।
খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতে সরকার কারাগার থেকে মুক্তি দিচ্ছে না -বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ সরকারের আমলে বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আদালতে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই বলেই উচ্চ আদালতও খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছেন। বিএনপি নেতাদের জানতে হবে মামলা কয়টা, জামিন নিয়েছে কয়টা।
মামলা নিয়েও বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এ মামলা আওয়ামী লীগ সরকারের নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
কাদের বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ভোট কমে গেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের আশা হারিয়ে ফেলেছে। তাই জাতীয় নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। তাদের জনগণের ওপর ভরসা কম। কথায় কথায় তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, মৎস ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।