ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘জনগণকে বাঁচাতে যা চেয়েছি ভারত সবই দিয়েছে’ : কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৪:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২

‘জনগণকে বাঁচাতে যা চেয়েছি ভারত সবই দিয়েছে’ : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান সংকট মোকাবিলা এবং জনগণকে বাঁচাতে ভারতের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা যা চেয়েছেন তার সবই দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে। শেখ হাসিনা তিস্তার কথা বলতে ভুলে যাননি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছুটা আপত্তি আছে। আশা করি, সেটিও হয়ে যাবে। বিএনপির তো না পাওয়ার হতাশা। আমাদের না পাওয়ার হতাশা নেই।’

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা ভারতের সঙ্গে দেয়াল তুলেছেন, আমরা সেই দেয়াল ভেঙে দিয়েছি। কোন দেশের ছিটমহল বিনিময় এতো শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। আপনারা তো ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব থাকলে সমস্যা যা আছে সেগুলো সমাধান হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী না যাওয়া প্রসঙ্গে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন; এমন কোনো কথা নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন না। একটা মানুষ তো অসুস্থ হতে পারে। তার শরীর কিছুটা অসুস্থ।

‘ভারত সফরে শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরছেন’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কয়েকটি সমঝোতা স্মারকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। বর্তমান সংকটে জনগণকে বাঁচাতে সবই ভারত থেকে পাওয়া গেছে। তিস্তার পানি চুক্তি হয়নি, তবে কুশিয়ারা চুক্তি হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো সেটিও সম্পন্ন হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, আশা করি তাদের প্রত্যাবর্তনে ভারত পাশে থাকবে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগের জাতীয় নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের দাবি করেছিল; আগামী নির্বাচনেও তাই চায়। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের বিষয়।

রাজনীতিবিদদের অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিবিদদের কোনো বয়সসীমা থাকা উচিত না। একটা মানুষ সারাজীবন রাজনীতি করে শেষ বয়সে এসে তা করতে না পারলে মরার আগে মরে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে মেগা প্রজেক্টগুলোর দায়িত্ব পালন করছি একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল; অনেকে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন; কিন্তু যারা কাজ করেছেন তাদের উৎসাহ দিতে ঈদের দিনেও সেখানে গেছি।

বিএসআরএফ’র সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

 
Electronic Paper