পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি করে জনগণের ক্ষতি করা হচ্ছে: আলাল
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৫:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২২

পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি করে জনগণের ক্ষতি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, এক পদ্মা সেতু নিয়ে যে মাতামাতি করছেন কত মানুষের যে ক্ষতি করেছেন তা কি জানেন?
তিনি বলেন, রাতের পরে দিন আসে, অন্ধ্যাকের পরে আলো আসে । এই দিন এরকম থাকেব না দিন পরিবর্তন হবে। তাই অন্ধ্যাকার থেকে আলো আসার আগে পালিয়ে যান তা নাহলে দেশের জনগন পদ্মা নদীর পানিতে আপনাদের কে চুবাবে আপনারা যেমন চুবাতে চেয়েছেন।সুতরাং এখনো সময় আছে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন । বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার ফোরামের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, আগের বছরের চেয়ে এবছ বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশী পাচার হয়েছে। কারা পাচার করেছে? এটা আমার আপনার বলার দরকার নাই। পরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন কারা টাকা পাচার করেছে। দেশের সরকারি আমলারা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরাই টাকা পাচার করেছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের জনগণের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি তার সারা জীবনে ২৩ টি আসনে নির্বাচন করেছেন। সবকটি আসনেই তিনি জয় পেয়েছেন। পরাজয় বলতে তার কোন কিছু নেই। আর এই কারনেই এই অবৈধ সরকারের রেশনালে পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হলো কিছু গণবিরোধী কর্মকর্তা, কিছু পুলিশ এর কর্মকর্তার উপরে আর বি এন পির জনপ্রিয়তা এদেশের জনগণের দোয়া এবং সমর্থন এর উপরে।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোন আওয়ামী লীগের নেতার কাছে হারে নাই। আপনিতো টিকে আছেন এক গোপালগঞ্জ নিয়ে। আপনিতো আঞ্চলিক নেতা। আর এই কারণে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার তাকে এত কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। আপনার (শেখ হাসিনা) গোপালগঞ্জ যেটাকে পারলে আপনি রাজধানী বানান সেই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এখন বুঝে নেন ঘরে যে খাট চেয়ার থাকে সেগুলোর পায়া ও ভেঙ্গে পড়া শুরু করেছে। ঠাপাস করে যেদিন পড়ে যাবেন সেদিন ভারত থেকে সুজেতারা আর আসবেনা। সেদিন হাত ধরে তোলার জন্য চীন থেকে আর কোনো বন্ধু আসবে না। সব দিক খেয়ে ফেলেছেন। একদিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয় অন্যদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ সবদিক থেকে আপনাদের তাসের ঘর ভেঙে পড়ছে।
তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) বিদেশে আমেরিকার হতে পায়ে ধরে বলেন বিএনপি নির্বাচনে আসলে সব সমস্যা সমাধান হয়। আপনারা ওদের হাতে পায়ে ধরার কি আছে? বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যান। তাকে মুক্তি দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করেন। নির্বাচন কমিশন বাতিল করেন সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোঃ রহমতুল্লাহ, কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
