ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক পদ্মা সেতু’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২২

‘দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক পদ্মা সেতু’

পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, এটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া দেশের একটি অনন্য মাইলফলক হলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। যারা রাজনৈতিক স্বার্থে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে অস্বীকার এবং দেশে শ্রীলংকার পরিণতি দেখতে সুপ্ত বাসনা লালন ও ষড়যন্ত্র করেন তাদেরকে বলতে চাই- পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু না; এটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক।’

শেখ হাসিনাকে ‘স্বপ্নবান মানুষ’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার মহিমান্বিত নেতৃত্বকে মূল্যায়ন করবে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা ব্যতিত আর কোনো নেতাই দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে রাজনৈতিক দর্শন ও পরিকল্পনা নিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেনি। বাঙালির ভাগ্যোন্নয়নের সংগ্রামে শেখ হাসিনাই পরিপূর্ণ আত্মনিবেদন করেছেন। আজ সন্দেহাতীতভাবে একথা প্রমাণিত যে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা মানেই মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হওয়া..। ২০০৮ সালে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তখন থেকে একের পর এক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে চলেছে। রূপকল্প ২০২১ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। সামনে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ রয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হবে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে শতবর্ষীয় ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ ঘোষণা করেছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনকল্যাণমুখী সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতা রাষ্ট্র পরিচালনা করলে কোনো ষড়যন্ত্রই যে জাতিকে পেছাতে পারে না তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা। সব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে সফলভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে বিএনপি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘হত্যার হুমকি’র বয়ান তৈরি করছে...। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ কোনোদিন করেনি। বরং জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির হাত ধরেই বিরোধী পক্ষকে নির্মূলের অপরাজনীতি শুরু হয়।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বার বার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এখনও ওই মহলটি ক্রমাগত দেশের স্বার্থ ও জনকল্যাণবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশবিরোধী গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন ও জনগণকে সতর্ক করতে চেয়েছেন। ফখরুলের জানা উচিত শেখ হাসিনা যদি খালেদা জিয়ার মৃত্যুই কামনা করতেন তবে একাধিকবার জামিন বাতিল হওয়ার পরেও তাকে ঘরে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন না; বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠনের সুযোগ দিতেন না। আমি তাকে (ফখরুল) বলতে চাই, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলার সময় কোথায় ছিল আপনাদের শিষ্টাচার?

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সজীব ওয়াজেদ জয়কে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে অপরহণ ও প্রাণনাশের অপচেষ্টাও চালানো হয়েছে। বিএনপি নেতারা বিভিন্ন সময় জাতীয় সংসদসসহ প্রকাশ্য জনসভায় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মনগড়া মিথ্যাচার ও অশালীন যেসব বক্তব্য দিয়েছেন... পৃথিবীর কোনো সভ্য সমাজে এর নজির নেই। আপনাদের শিষ্টাচারের ভাষা তো গ্রেনেড, গুলি আর ষড়যন্ত্র। সুতরাং শেখ হাসিনাকে শিষ্টাচার শেখাতে আসবেন না। এদেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচার ও উদারতা যদি কেউ দেখিয়ে থাকেন তিনি শেখ হাসিনা।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশবাসী ভালোভাবেই জানে, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। সেজন্য আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা পরাজিত সৈনিকের আত্মপ্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।’

 
Electronic Paper