ভাওয়ালের লড়াইয়ের গল্প
সর্পদ্বীপ
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০১, ২০১৮
সবুজ বনে স্বচ্ছ জলের ১৩ কিলোমিটারের দীর্ঘ লেক। লেকের দুই ধারে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান অনেকেই ন্যাশনাল পার্ক বা শালবন নামে নামে চেনেন। উদ্যানে আসা দর্শনার্থীদের মতে, গত কয়েক বছরে বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ফিরে পেয়েছে হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব। দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এ উদ্যানে সর্পদ্বীপ গড়ে তোলা হয়েছে সর্পদ্বীপ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্যানের অর্কিড রেস্টহাউসের পশ্চিম দিকে চারদিকে স্বচ্ছ জলের লেক। মাঝখানে দেড় একরের মতো উঁচু ভূমি। এ যেন গহীন অরণ্যেতে জেগে ওঠা এক দ্বীপ। অর্কিড রেস্টহাউজ থেকে দ্বীপটিতে প্রবেশপথ দর্শনার্থীদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। সরু গাছ দিয়ে সাকো তৈরি করে অর্কিড রেস্টহাউজ থেকে সর্পদ্বীপে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ দীর্ঘ সরু সাকো দুর্বলচিত্তের দর্শনার্থীদের জন্য নয়। পা পিছলে গেলেই সোজা লেকের জলে। তবে পানির গভীরতা কম হওয়ায় ডুবে যাওয়ার ভয় নেই।
পার্ক ও ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, সর্পদ্বীপের গহীন জঙ্গলে বিষাক্ত বিভিন্ন প্রজাতির সাপ রয়েছে। এ ছাড়া আছে গুইসাপ, সাজারু ও বেজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী। দ্বীপের গহীন জঙ্গলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। দ্বীপের উন্মুক্ত স্থানে গাছের সঙ্গে টানানো হয়েছে দোলনা। প্রাকৃতিকভাবে ছাউনি তৈরি করা হচ্ছে। গাছের গুঁড়ি দিয়ে দর্শনার্থীদের বসার জন্য টুল তৈরি করা হচ্ছে।
সর্পদ্বীপটি দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় করতে উদ্যানে আসা দর্শনার্থীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সরক্ষণের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এ এস এম জহির উদ্দিন আকন সর্পদ্বীপ তৈরির শুরু থেকে দ্বীপ গড়ে তোলার কার্যক্রম বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেছেন।