ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নারী উদ্যোক্তাদের সফলতা

উদ্যোক্তা ফারজানা ফেরদৌস

বিবিধ ডেস্ক
🕐 ২:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৮, ২০২০

নিজ থেকে কিছু করার তার ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ। পরিবারের সবাই প্রতিষ্ঠিত। পারিবারিক কাজে তারা সাধ্যমতো অংশ নেয়। ঈদে একে অন্যকে পোশাক উপহার দেয়। ছোট্ট ফারজানার ইচ্ছে হয় সবার জন্য উপহার কেনার। ফারজানা বলল, আমার মনে হত কবে আমিও এভাবে সবার জন্য উপহার কিনতে পারব। বরিশালের মেয়ে ফারজানা ফেরদৌস। একজন সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। তিনি এখন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন। বাবা এস এম দেলোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল। মা রাশিদা আকতার গৃহিণী।

ফারজানার অনলাইন প্রতিষ্ঠানের নাম দাঁড়কাক। অনলাইনে ব্যবসা শুরু সম্পর্কে বলেন, ২০১৭-এর রোজার মাঝে আমার পরিচিত একজন আপু কিছু পোশাকের ছবি দিয়ে বলেন, সেগুলো বরিশাল এ চলবে কিনা? তো সে অনুযায়ী আমি ব্যক্তিগত আইডি দিয়ে মেসেজ করি এবং খুব ভালো সাড়া পাই। এরপর ছোট ভাই ফেসবুকে পেজ খুলে দেন।

দাঁড়কাক নামটাও তারই দেওয়া।

নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাখিটি আমাদের কাছে অনেকটা অস্পৃশ্য, কারণ এর গায়ের রঙ। তেমনি আমাদের সমাজে কালো রঙ অবহেলার পাত্র, সবাই সুন্দর বলতে শুভ্র যেকোনো কিছুকেই নির্দেশ করে। তাই এই কালোর আড়ালে ভালো পণ্য সংগ্রহে রেখে এটাই বলতে চেয়েছিলাম, কালো মানেই অসুন্দর নয়। কালো বা কাক নিয়ে মানুষের গতানুগতিক চিন্তাধারা পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম এই নামকরণের মাধ্যমে।

শাড়ি, চাকমা থামি কাপড়ের নানা ধরনের ব্যাগ, পোশাক, চাদর, মণিপুরী জুম শাড়ি, তাঁতের সালোয়ার কামিজ, তাতে জামদানিসহ দেশীয় বুননে করা শাড়ি, ক্যানভাস টিপ, ব্লাউজ, মেটাল গহনাও ফারজানার অনলাইন শপে পাওয়া যায়।

খুব শীঘ্রই ছেলেদের পাঞ্জাবিসহ অন্যান্য পণ্য আসছে বলে তিনি জানান।

অনলাইনে ছবি দেখে পণ্য ক্রয় করা হয়। ছবির সঙ্গে পণ্যের মিল না থাকলে কী করেন, এই প্রশ্নের জবাবে ফারজানা বলেন, আমাদের যেহেতু অনলাইন বেজড শপ, তাই হাতে ধরে দেখার সুযোগ কম। এক্ষেত্রে আমরা ছবি যথাসম্ভব বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। যাতে ৯৯ শতাংশ একই রকম হয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper