ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জিনিয়ার সাফল্য

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২০

শুধু সাইক্লিং নয়। প্রকৃতি দেখো। কোথাও গেলে একটি হলেও ভালো কাজ করে এসো। সেটা যদি একটি গাছ লাগানো হয়। একটি ভালো পরামর্শও হয়। অসুবিধা নেই। কথাগুলো জিনিয়া তাবাসসুমের। তিনি একজন নারী সাইক্লিস্ট। দেশ ও দেশের বাইরে তার সাইক্লিংয়ের সাফল্যের ফিরিস্তি অনেক লম্বা। তিনি সাইক্লিং করেন।

সমাজ কল্যাণমূলক কাজও করেন। দুটোই তার ধ্যান জ্ঞান। ২০১৭ সালে নিয়মিত সাইকেলে ভ্রমণ শুরু করেন। ২০১৯-এ এসে তার সাফল্যের তালিকা সমৃদ্ধ করেছে খারদুংলা জয়, চারটি ক্রস কান্টি ভ্রমণ, দেশের মধ্যে ৪৫টি জেলা ভ্রমণ ইত্যাদি। সময় মাত্র দু’বছর। কিন্তু সাফল্য অনেক। চাচাতো ভাইয়ের জন্য সাইকেল কিনে আনা হয়।

সেই সাইকেল লুকিয়ে তিনি বাইরে নিয়ে যান। চালানোর চেষ্টা করেন। এভাবেই তিনি সাইকেল চালানো রপ্ত করেন। প্রথম রাইড ছিল তার পার্বত্য তিন জেলা। শুরুটা তার অসমতল উঁচু-নিচু জায়গায় সাইক্লিং করে। প্রথম রাইডের ঠিক দু’মাস আগে তিনি নতুন সাইকেল কেনেন। মডেল ছিল ফিনিক্স টিকে ১২০০। সেটা ছিল নিজের উপার্জিত টাকায় কেনা। জিনিয়া বলছিলেন, তখন সাইক্লিংয়ের তেমন কিছুই জানতাম না। কোন গিয়ারে কোথায় চালাতে হয় তাও বুঝতাম না।

জিনিয়া চারটি ক্রস কান্টি শেষ করেছেন। ক্রস কান্টি হল, দেশের এক বর্ডার থেকে আরেক বর্ডার কোনাকোনি ক্রস করা। এটা মোটেও সহজ কাজ নয়। জিনিয়া বলেন, আমি চারটি ক্রস কান্টি শেষ করেছি। যেগুলো হলো টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ১১ দিনে ১১০০ কিলোমিটার, দর্শনা থেকে আখাউড়া, ২ দিনে ৩৭০ কিলোমিটার, সাতক্ষীরা থেকে সিলেট এবং হালুয়া থেকে কুয়াকাটা, ৩দিনে ৪৫০ কিলোমিটার।

জিনিয়া জানান, এখন অবধি তিনি ৪৫টি জেলা ভ্রমণ করেছেন। প্রত্যেক জেলায় কমপক্ষে একটি স্কুল বেছে নেন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কথা বলেন। তিনি অন্যতম বাংলাদেশি নারী যিনি একাধিক ক্রস কান্টি ভ্রমণ করেছেন। তিনি মোট  চারটি ক্রস কান্টি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন। চারবার দেশের বাইরে সাইকেল ভ্রমণে গিয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি খারদুংলা জয় করেন।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আঠার হাজার তিনশ’আশি ফিট উঁচুতে এ খারদুংলা পাশ। যা কিনা এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের চেয়েও উঁচু। জিনিয়া বলেন, যে ধারণা নিয়ে খারদুংলার পথে গিয়েছিলাম। আসলে বাস্তবে তা অনেক কঠিন ছিল। অসুস্থ শরীর নিয়ে সাইকেলের প্যাডেলে পা রেখেছি। নাক দিয়ে কখনো কখনো হালকা রক্ত পড়ছিল। উচ্চতাজনিত সমস্যা তো ছিলই।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper