জ্ঞানচর্চা ও ঐতিহ্যের পাঠাগার
কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি
শফিক হাসান
🕐 ১:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
জ্ঞানচর্চার জন্য পাঠাগারের বিকল্প নেই। বই নিয়ে, বইপড়ার উপকারিতা নিয়ে বিশে^র বিভিন্ন দেশে আলোকপাত করেছেন মনীষীরা। বর্তমানে বই সহজলভ্য হলেও প্রযুক্তি ক্রমপ্রসার ও বিনোদন নানা ক্ষেত্র উন্মোচিত হওয়ার কারণে ‘আদর’ হারাচ্ছে বই।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘বিদ্যুৎকে মানুষ লোহার তার দিয়া বাঁধিয়াছে, কিন্তু কে জানিত মানুষ শব্দকে নিঃশব্দের মধ্যে বাঁধিতে পারিবে। কে জানিত সংগীতকে, হৃদয়ের আশাকে, জাগ্রত আত্মার আনন্দধ্বনিকে, আকাশের দৈববাণীকে সে কাগজে মুড়িয়া রাখিবে। কে জানিত মানুষ অতীতকে বর্তমানে বন্দি করিবে। অতলস্পর্শ কালসমুদ্রের ওপর কেবল এক-একখানি বই দিয়া সাঁকো বাঁধিয়া দিবে।’
বইয়ের মাহাত্ম্য বলে শেষ করা যাবে না। তবে বর্তমানে পাঠপ্রবণতা কমলেও বইয়ের পাঠক ঠিকই আছে। সৃজনশীল বইমুখী না হলেও লাখ লাখ মানুষ পাঠ্যবইমুখী হচ্ছেন ঠিকই! সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
এটি দেশের সবচেয়ে বড় পাঠাগার। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। অবস্থান ঢাকার শাহবাগে। এ গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন প্রচুর বিদ্যোৎসাহীর সমাবেশ ঘটে। নীরবে বইয়ের কালো অক্ষরের সান্নিধ্য নেন তারা। গ্রন্থাগারটির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিচালিত হচ্ছে।
মার্চ ২০০৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, এখানে দুর্লভ ও ঐতিহাসিক মূল্যমানের প্রায় ১,১৯,৭৫০ টি বই রয়েছে। তবে ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী সংগ্রহের পরিমাণ প্রায় ২,০৪,৯৭৪ টি বই। বইগুলোর বেশিরভাগের ভাষা বাংলা-ইংরেজি। রয়েছে হিন্দি, উর্দু, আরবি ও ফারসি ভাষারও বইও।
দেশের বেশিরভাগ দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকীর কপি সংগ্রহে থাকে। অনেক পুরাতন বাঁধাইকৃত পত্রিকাও রয়েছে। প্রয়োজনে ফটোকপি করে নেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে বিশেষ সংগ্রহ ও আলাদা কক্ষ। তারা বসে যেমন পড়তে পারে, সদস্য হয়ে বই নিতেও পারে।
সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিনই খোলা থাকে গ্রন্থাগারটি।
সাধারণ পাঠকক্ষ : রোববার থেকে বৃহস্পতিবার। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বিজ্ঞান ও রেফারেন্স পাঠ কক্ষ : শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
শিশু পাঠকক্ষ : রোববার থেকে বৃহস্পতিবার। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।