জ্ঞানচর্চা ও ঐতিহ্যের পাঠাগার
সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ
দিপু সিদ্দিকী
🕐 ১:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জনপদ সিলেট। পাহাড় টিলা আর সবুজ, শ্যামলের সমাহার। এ মাটিতে শুয়ে আছেন হজরত শাহজালাল (রহ.)সহ ৩৬০ আউলিয়া। আন্দোলন সংগ্রাম কিংবা সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতিটি ধাপে সিলেটিদের সরব প্রচারণা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা এ সিলেটের কবি-সাহিত্যিকরা। তাদের সাহিত্য আসরেই ১৯৪৮ সালে প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি ওঠে। আর এ সাহিত্য আসরের আয়োজক কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস)।
সময়ের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ নিজস্ব ইতিহাসে সমৃদ্ধ হয়েছে। ১৯৩৬ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর মুসলমান সমাজে সাহিত্যচর্চার ব্যাপক প্রচলন, বৃহত্তর সিলেটের বাংলাভাষী কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্য সংকলন, প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ এবং মুসলিম সাহিত্যসেবীদের সাহিত্যচর্চার সুযোগ দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ’।
শত বছরের ইতিহাস লালনের গৌরব ও সিলেটবাসীর গর্বের ধন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। মাত্র ১৯টি বই নিয়ে সাহিত্য সংসদের পাঠাগারের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সাহিত্য সংসদে এখন বইয়ের সংখ্যা অর্ধলক্ষ ছাড়িয়েছে। রেজিস্টার অনুযায়ী বইয়ের সংখ্যা ৫২৫৭৭।
অনেকের ধারণা রেজিস্টারের বাইরেও অনেক বই রয়েছে। এর মধ্যে দুর্লভ সংগ্রহের একটি তালিকা করা হয়েছে, যাতে ১১০৬ টি বই রয়েছে।
সংসদের পাঠাগারের বইয়ের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- বেশিরভাগ বইয়ের বয়স ষাট বছরের বেশি। এখনো অনেক লেখক তার পুরনো বইটি সাহিত্য সংসদের পাঠাগারে খোঁজ করেন।
প্রতিদিন শত শত পাঠক সাহিত্য সংসদ পাঠাগারে বসে বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়তে পারেন। বই বাড়িতে নিয়ে পড়ারও ব্যবস্থা আছে। পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।