ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বইমেলা : দেশে ও বিদেশে

ভিনদেশে বইয়ের বাজার

খন্দকার মাহমুদুল হাসান
🕐 ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০

বাংলাদেশের বাইরেও যে বাংলা বইয়ের বাজার আছে সেটি আনন্দের কথা। বাংলা ভাষায় কথা বলেন না এমন মানুষ অধ্যুষিত এলাকাতেও এখন বাংলা বইয়ের বিপণন হচ্ছে, বাংলা বইয়ের মেলা হচ্ছে। বাংলাদেশের বাইরের তিনটি বইমেলায় উপস্থিতির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কথাগুলো বলছি।

এর মধ্যে দুটি পশ্চিমবঙ্গে, একটি দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা দুটোর একটি উত্তর চব্বিশ পরগনার খিলকাপুরে, অন্যটি শিলিগুড়িতে। খিলকাপুরের মেলাটি প্রায় গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধারণ করে রেখেছে। মেলা উপলক্ষে সাজসজ্জা যথাসম্ভব ভালো ছিল। সুসজ্জিত মেলামঞ্চ ছিল। পাঠকও ছিল। প্রধানত বাংলা বই ছিল। কারণ এলাকাটি পুরোপুরি বাঙালি অধ্যুষিত। বোঝা যায়, অন্যান্য ভাষার প্রতাপের মধ্যেও ওখানকার গ্রাম এলাকায় বাংলা বইয়ের চল আছে।

শিলিগুড়ির বইমেলার নাম ছিল উত্তরবঙ্গ বইমেলা। শহরের কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বেশ বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ মেলা। এটি দার্জিলিং জেলার একটি শহর। দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত হলেও এ জেলায় বিপুলসংখ্যক মানুষের ভাষা বাংলা নয়। জেলা শহরের প্রধান ভাষা নেপালি। তবে বিপুলসংখ্যক ইংরেজি বিদ্যালয় আছে এবং ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার প্রচলন যথেষ্ট।

এ বইমেলার চেহারাটাও তাই খিলকাপুর থেকে আলাদা। কলকাতার নামিদামি প্রকাশক ছাড়াও রায়গঞ্জ ও কুচবিহারের প্রকাশকদের স্টল এখানে দেখেছি। এর বাইরেও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা স্টল এখানে দেখেছি। বহু স্টল, অনেক জাঁকজমক। তবে প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বাংলা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক হিন্দি ও ইংরেজি বইয়ের সমাহার। সেসব বই বিক্রিও হচ্ছে। সেগুলো যে শুধু অবাঙালিরা কিনছে তা নয়, বাঙালিরাও কিনছে। কাজেই বাংলা বইয়ের বাজার সেখানে বাঙালিদের মধ্যেও একচেটিয়া বিস্তৃত নয়।

এবারে দিল্লির বাংলা বইমেলার কথা বলি। অবাঙালি অধ্যুষিত এ শহরের বাঙালিদের মধ্যে বাংলা বইয়ের প্রতি টান রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক লেখক সম্পর্কেই তারা বেশ খোঁজ-খবর রাখেন দেখলাম। সিরিয়াস ধারার বইয়ের প্রতি তাদের আকর্ষণ যে বেশি সেটিও বুঝলাম।

বাংলাদেশের অনেক বইয়ের মান সম্পর্কেই তারা উচ্ছ্বসিত। তবে দিল্লি-উত্তর প্রদেশের অনেক স্থানীয় অধিবাসীর মধ্যে যে বাংলার চল আছে এবং তারাও বাংলা বই কেনেন এটা আগে জানা ছিল না। কলকাতার বাঙালি পাঠক কুনাল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে খবরটি পেয়ে খুব আশান্বিত হলাম।

সব মিলিয়ে যতটুকু দেখেছি, বাংলা বইয়ের বাজার বাংলাদেশের বাইরেও রয়েছে। বইয়ের গুণগত মানের ব্যাপারে আপস না করলে এ বাজার আরও বাড়বে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper