ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নোট বাতিল

বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৯

বাজারে চালু থাকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাচ্ছে, এমন একটি গুজব বাতাসের বেগে ছড়িয়ে পড়ে সম্প্রতি। ক্যাসিনো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিপুল টাকা উদ্ধারের পর অবৈধ অর্থ ধরতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট সরকার বাতিল করতে যাচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়। আর সেই গুজবই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

অনেক কালো টাকার মালিক ব্যাংকের পরিবর্তে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাসাবাড়িতে জমা করে রাখছেন। এসব অর্থ তারা নানা অবৈধ কাজে ব্যবহার করছেন। এ টাকা থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছেন না, অন্যদিকে এসব টাকা অর্থনীতির মূল স্রোতেও থাকছে না। অধিকাংশ কালো টাকার মালিক ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ব্যাংকের পরিবর্তে বাড়িতে গচ্ছিত রাখছেন। এসব কারণে সরকার ভারতের মতো ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার নোট বাতিল করতে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে দ্রুতই বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কোনো চিন্তা তারা করছে না।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ভারত সরকার সে দেশের অবৈধ জমানো টাকা মূল স্রোতে বা বিনিয়োগে নিয়ে আসতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। নরেন্দ্র মোদি সরকার এ দুটি নোট বাতিল করে সফলতাও পায়। এতে দেশের সব অবৈধ অর্থ দেশের অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসতে সক্ষম হন তারা। অনেককেই এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে দেখা যায়। একজন লেখেন, ভারত সরকার কিছুদিন আগে অবৈধ অর্থ ধরতে সেদেশে প্রচলিত নোট যেভাবে বাতিল করেছিল, বাংলাদেশেও সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

গুজবটি এমনভাবে দানা বাঁধতে শুরু করে, শেষ পর্যন্ত এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে খবরটি যে সত্যি নয়, সে মর্মে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়েছে। তাতে বলা হয়, কিছু সংবাদমাধ্যমে ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাতিলের বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা খবর ছাপানো হয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনমনে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে; যার ফলে দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে।

৫০০ কিংবা ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমান নোট বাতিলের কোনো চিন্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই। অর্থাৎ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনো নির্দেশনাও প্রদান করা হয়নি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper