ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিশ্ব বিপ্লবের বরপুত্র

গ্রেফতার ও মৃত্যু

বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১২:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯

বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে তারা গুয়েভারাকে ৭ অক্টোবর গ্রেফতার করে এবং তার মৃত্যু হয় ৯ অক্টোবর ১৯৬৭ সাল বেলা ১.১০ মিনিটে। মৃত্যুর এ সময়কাল এবং ধরন নিয়ে মতভেদ এবং রহস্য এখনো আছে।

ধারণা করা হয়, ১৯৬৭ সালের এই দিনটিতে লা হিগুয়রা নামক স্থানে নিরস্ত্র অবস্থায় নয়টি গুলি করে হত্যা করা হয় বন্দী চে গুয়েভারাকে। পরে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী ঘোষণা করে যে বন্দি অবস্থায় নয়টি গুলি চালিয়ে সেই আর্জেন্টাইন ‘সন্ত্রাসবাদী’কে মেরে ফেলতে পেরেছে এক মদ্যপ সৈনিক। তবে আরেকটি মতামত হচ্ছে, এই দিন যুদ্ধে বন্দি হলেও তাকে এবং তার সহযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় কিছুদিন পর।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন প্রতিবেদনে পরবর্তীতে এসব দাবির স্বপক্ষে কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে চে গুয়েভারা সৈনিকদের বলেছিলেন, ‘আমাকে গুলি কর না, আমি চে গুয়েভারা, আমাকে মেরে ফেলার পরিবর্তে বাঁচিয়ে রাখলে তোমাদের বেশি লাভ হবে।’ চে’কে ধরা ও হত্যা করার পেছনে কাজ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। মৃত্যুর পরপরই তিনি বিশ্বজুড়ে বিপ্লবীদের কাছে নায়ক হয়ে ওঠেন। তাকে হত্যার পেছনে লাতিন আমেরিকার একনায়ক শাসক আলফ্রেদো ট্রয়েসনারের হাত ছিল বলে তথ্য দিয়েছেন প্যারাগুয়ের গবেষক মার্টিন আলমাদা। কারণ চে’ তার বিরুদ্ধেও গেরিলা যুদ্ধ শুরু করতে পারেন বলে তার ভয় ছিল।

তার মৃত্যু নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা সে সময় লিখেছিল, ‘একজন মানুষের সঙ্গে সঙ্গে একটি রূপকথাও চিরতরে বিশ্রামে চলে গেল।’ পরে ১৯৯৭ সালে ভ্যালেগ্রান্দের একটি গণ-কবরে চে ও তার সহযোদ্ধাদের দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper