নোবেল পরিবার
গুনার মিরডাল ও আলভা মিরডাল
স্বামী-স্ত্রী
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুইডিশ বন্ধু নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত কার্ল গুনার মিরডাল। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সুইডেনে ও আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টির কাজ করেছিলেন, বাঙালি শরণার্থীদের জন্য সাহায্য প্রেরণ করেছিলেন এবং পাকিস্তানের কাছে সুইডেনের অস্ত্রবিক্রয় বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন। সুইডেনে উত্তোলন করেছিলেন বাংলাদেশের পতাকা। পাকিস্তান কর্তৃক সংঘটিত বাঙালি নিগ্রহ নিয়ে তিনি লিখেছেন। তার স্ত্রী আলভা মিরডালও একজন লোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ।
কার্ল গুনার মিরডাল ৬ ডিসেম্বর ১৮৯৮ সালে সুইডেনে জন্মগ্রহণ করেন। সুইডিশ এই অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ১৯৭৪ সালে ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ঘটনাবলির পারস্পরিক নির্ভরতার তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণে’র জন্য ফ্রেডরিচ হায়কের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিজ্ঞান বিষয়ে নোবেল স্মৃতি পুরস্কার পান। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘জাতিগত সম্পর্ক’ নিয়ে গবেষণার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।
১৯৩৩ সালে স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা শুরু করেন গুনার মিরডাল। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে ১২ বছর কাজ করার পর ৬০ বছর বয়সে এসে সিনেটর হন। স্ত্রী রাজনীতিবিদ আলভা মিরডালও নোবেল পাওয়া অর্থনীতিবিদ। আলভা মিরডালের জন্ম ৩১ জানুয়ারি ১৯০২। সুইডিশ এ সমাজবিজ্ঞানী, কূটনীতিক এবং রাজনীতিবিদ নিরস্ত্রীকরণ আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে আলফনো গার্সিয়া রোবেলের সঙ্গে মিলে তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পিতার নাম আলবার্ট রেইমার ও মাতার নাম লুয়া জনসন। পিতা ছিলেন সমাজতান্ত্রিক এবং আধুনিক উদারতাবাদী। আশৈশব দেখেছেন তার পরিবারকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর হতে। এটা তার জীবনের একটি বড় প্রভাব ফেলে। তিনি মনোবিজ্ঞান এবং পারিবারিক সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ালেখা করেন।
১৯২৯ সালে আলভা ও তার স্বামী গানার রকিফেলার ফেলো হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মিরডাল মনোবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানে আরও অধ্যায়ন করেন। কাজ করেন শিশুশিক্ষা নিয়েও। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক বছর অতিবাহিত করার পর স্বামীসহ স্থানান্তরিত হন জেনেভায়। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ সালে ৮৪ বছর বয়সে মারা যান আলভা।