রক্তে রঞ্জিত লঙ্কা শ্রী
যেভাবে হামলা
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট। রাজধানী কলম্বো থেকে ২০ মাইল উত্তরের শহর নেগোম্বোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান চার্চে প্রথম হামলাটি চালানো হয়। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা তখন ইস্টার সানডে পালন করছিল।
প্রথম হামলার পর একে একে আরও দুটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে পালাক্রমে বোমা হামলা চালানো হয়। যে গির্জাগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো কোচ্চিকাডে, নেগম্বো এবং বাট্টি কালোয়ায় অবস্থিত। এছাড়া রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণ হয়েছে। রক্তাক্ত গির্জার ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আটটি হামলার মধ্যে দুটি হামলা আত্মঘাতী ছিল বলেও জানা গেছে। বিস্ফোরণের ধরন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নন দেশটির কর্মকর্তারা। তবে ইস্টার সানডের আয়োজনকে কেন্দ্র করে এই হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। সেইন্ট অ্যান্থনিস শ্রাইনের পর আক্রান্ত দ্বিতীয় গির্জাটি হলো নেগোম্বোতে অবস্থিত সেন্ট সিবাস্টিয়ান চার্চ।
নেগোম্বো রাজধানী থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত একটি মৎস্য বিপণনের শহর। ষোড়শ শতকে পর্তুগিজ ঔপনিবেশ থাকাকালে এখানে ক্যাথলিকদের বসবাস শুরু হয়। এখানে বর্তমানে ক্যাথলিক সংস্কৃতি অত্যন্ত জোরদার থাকার কারণে শহরটির ডাকনাম হয়েছে ‘খুদে রোম’।
প্রতিবছর সাধু সিবাস্টিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এখানে গির্জাটির পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই গির্জায় রাতদিন প্রার্থনা হয়। প্রতিদিনই ধর্ম আলোচনা হয়। বিশেষ বিশেষ দিনে শোভাযাত্রাও হয়। গৃহযুদ্ধের আগে এবং পরে সব সময়ই এ অবস্থা সেখানে বিদ্যমান ছিল এবং এখনো আছে।
গির্জা ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি হোটের নাম সাংগ্রি-লা। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন সাংগ্রি-লা হোটেলের প্রবীণ শেফ শান্তা মায়াদুনি ও তার মেয়ে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাংগ্রি-লা হোটেলের বোমা হামলার সময় শান্তা মায়াদুনি ও তার পরিবার হোটেলেই ছিলেন।